সারাদিনে আপনি কি নিয়ম করে খান? আদৌ জানেন তো প্রয়োজনীয় পুষ্টি শরীরে যাচ্ছে কিনা? এমনিতেই চারিদিকে এখন ভেজাল খাবার দাবারে ভরে গেছে। রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম হাওয়ার অন্যতম কারণ হিসেবে অপুষ্টি এবং অনিয়মিত খাবারকে ধরা হয়। কম হিমোগ্লোবিন বেশিরভাগ সময় বড় ধরনের শারীরিক গাফিলতি সৃষ্টি করতে পারে। সময়মত এর চিকিৎসা না করলে কিন্তু ভারী বিপদ।
Advertisment
হিমোগ্লোবিন আসলে আয়রন প্রোটিন যা সমস্ত লোহিত রক্ত কণিকায় পাওয়া যায়। অনেক সময় চিকিৎসকেরা বলে থাকেন, রক্তাল্পতা থেকেও এর মাত্রা কম হতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মহিলাদের মধ্যে এর লক্ষণ কিন্তু বেশি। সন্তান প্রসবের পরবর্তী সময়ে অনেকেই ভোগেন এই সমস্যায়। তবে এর থেকে রেহাই কিন্তু পাওয়া যায়। ডায়েটের পরিবর্তনের মাধ্যমেই এর মাত্রা কম করা সম্ভব।
আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ ডা: ঐশ্বর্য সন্তোষ বলেন, কিছু সঠিক খাদ্য গ্রহণ করলে কিন্তু ধীরে ধীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়তে পারে। এটি সঠিক মাত্রায় থাকলে শরীরের অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গ গুলি সচল থাকবে। কারণ হিমোগ্লোবিন ফুসফুস থেকে অক্সিজেন সঠিক মাত্রায় শরীরের অন্যান্য অঙ্গে বহন করে এবং কার্বন ডাই অক্সাইড ফুসফুসে ফিরিয়ে দেয়।
প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষের শরীরে এর সঠিক মাত্রা : ১৪ থেকে ১৮ গ্রাম / ডেসিলিটার প্রাপ্ত বয়স্ক মহিলাদের শরীরে এর সঠিক মাত্রা : ১২ থেকে ১৬ গ্রাম / ডেসিলিটার
কী কী সেবন করলে এই ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব?
• মরিঙ্গা থোরান পাতা:
উপকরণ: আধ কাপ মরিঙ্গা পাতা, হাফ চামচ ঘি, তিনটি পেয়াজ এবং খনিজ লবণ (বিট নুন)
পদ্ধতি: ঘি গরম করুন। কাটা পেয়াজ তাতে ভেজে নিন। মরিঙ্গা পাতা এবং লবণ মিশিয়ে কয়েক মিনিট ভাজুন। ভাত কিংবা রুটির সঙ্গে খান।
• কিসমিস খেজুরের রস:
উপকরণ: ৫টি খেজুর এবং ১০টি কিসমিস
পদ্ধতি: সারারাত কিসমিস এবং খেজুর ভিজিয়ে রাখুন। সকালে অল্প বেটে নিন এবং এর থেকে রস বার করে নিন। পান করুন খালি পেটে।
• এবিসি জুস:
উপকরণ: হাফ কাপ আমলা, হাফ কাপ বিট রুট, হাফ কাপ গাজর, এক কাপ জল।
পদ্ধতি: সব সবজি একসঙ্গে বেটে নিন। তার থেকে রস বার করুন। ছেঁকে নিন, অল্প লেবু মিশিয়ে পান করুন।
নিয়মিত এই খাবার এবং পানীয় গুলি খান, ধীরে ধীরে ফল পাবেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন