শীত ছেড়ে বসন্তের দিকে গড়াচ্ছে প্রকৃতি। আকাশে মেঘ আর বৃষ্টি থাকলেও হাওয়ার সেই গন্ধ বলে দিচ্ছে বসন্তের আর দেরি নেই। আর এই সময়েই কিন্তু বেশিরভাগ মানুষের অসুস্থ হওয়ার পালা, ডিহাইড্রেশন থেকে চিকেন পক্স কিংবা নাক কান গলার সমস্যা, শরীরকে সুস্থ রাখতে অন্তত বর্তমান পরিস্থিতিতে শুধুই ওষুধ নয় বেশ কিছু বিষয়ে না জানলেই নয়।
পুষ্টিবিদ এবং বিশেষজ্ঞ টিম গ্রে বলছেন যদি শরীরকে সুস্থ রাখা আল্টিমেট গোল হয় তবে প্রতিদিনের রুটিন এবং বেশ কিছু ভাল অভ্যাস কিন্তু কাজে আসতে পারে। তার জন্য শুধু বাক্স ভর্তি ওষুধ নয়, দরকার বাহ্যিক জ্ঞান। এবং যেকোনও একদিকে নয় একে সর্বতোভাবে সুস্থ রাখার দায়িত্ব মানুষের নিজের।
তিনি আরও বলেছেন বেশিরভাগ সময় চিকিৎসকের কাছে গেলেই তার ওষুধ পথ্য এবং চিকিৎসার বিষয়েই মানুষকে জানান, অর্থাৎ অ্যান্টি বায়োটিক, অ্যান্টি ডিপ্রেশন্টস, পেইনকিলার থেকে বেটা ব্লকার এই ধারণাই দিয়ে থাকেন তবে নিজস্ব জীবনে কীভাবে একজন মানুষ সুস্থ থাকতে পারবেন সেই সম্পর্কে অনেকেই জানেন না এবং তাদের জন্যই আজকের এই টিপস বেশ কার্যকরী। তার মত অনুযায়ী হেলথ কেয়ার করতে গেলে হেলথ আসবে প্রথম প্রায়োরিটি এবং দ্বিতীয় আসবে অন্যান্য যেমন নিউট্রিশনাল সায়েন্টিস্ট, ডায়েট প্ল্যান, বায়োকেমিস্ট এবং সাইকোলজিস্ট।
চিকিৎসকরা আসলেই কী মনে করেন?
তাদের মতামত অনুযায়ী যদি সিস্টেমে সমস্যা থাকে, তাহলে হেলথ কেয়ার কোনওভাবে সম্ভব নয়। ক্রনিক হেলথ ইস্যুর ক্ষেত্রে অনেক ভাবনা চিন্তা করা প্রয়োজন। জীবনযাত্রা পরিবর্তন থেকে অনেক কিছু বদলাতে পারে। তারা মনে করেন কম করে ৫০% লোকজন শরীরকে সুস্থ রাখতে তৎপর নয়। তারা সূর্যের সংস্পর্শে যায় না, পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি, ম্যাগনেসিয়াম এগুলি গ্রহণ করেন না, তাই সমস্যাও দুর হয়না।
হেলথ কেয়ার বলতে আসলেই যেটিকে বোঝায়...?
প্রথম, নির্দিষ্ট একটি সময়ে উপবাস! এই ধারণা একেবারেই ভুল যে খাবার না খেলে শরীরের অসুবিধে হয়, বরং যদি একটু সময় আপনি না খেয়ে থাকতে পারেন তবে শরীরের পক্ষে বেশ ভাল এবং তার সঙ্গে হজম জাতীয় সমস্যা একেবারেই থাকে না।
দ্বিতীয়, হেলদি নিউট্রিশন - প্রত্যেকটি মানুষের জন্য এটি সবথেকে বেশি দরকার। কোন সময়ে কি পরিমাণে কি খাবেন জানা দরকার, যেটি আপনার জন্য উপযুক্ত নয় সেটিও জানা দরকার।
তৃতীয়, সূর্যের আলো এখন শরীরের পক্ষে বেশ কার্যকরী, বিশেষ করে ভোরের সূর্যের আলো। এর থেকে প্রাপ্ত ভিটামিন ডি আপনার কাজে আসবে দারুনভাবে।
চতুর্থ, মাঠে খালি পায়ে হেঁটে বেড়ানো আপনার জন্য লাভদায়ক। এর থেকে অনেক উপকার, শারীরিক ইলেকট্রন এবং মাইক্রব দুটিই সজাগ থাকতে পারে।
পঞ্চম, শরীরচর্চা অবশ্যই তবে মাত্রা ছাড়িয়ে যাবেন না। এবং অবশ্যই শরীরে গরম ঠান্ডা দুটিই দরকারি তাই বজায় রাখার চেষ্টা করবেন। ভাল পরিমাণে জল খাবেন।
ষষ্ঠ, সবকিছুর সঙ্গে ঘুমানোর বিষয়েও নজর দিতে হবে। কারণ ঘুম না হলে খুব সমস্যার, শারীরিক রিদম ঝামেলা করতে পারে।