সারাদিনের উল্টোপাল্টা খাওয়াদাওয়া এবং সঙ্গেই অনিয়ম তার সঙ্গে বেশ কিছু মানুষের বদ অভ্যাসের কথাও না বললেই নয় - লিভারের সমস্যা থাকা একেবারেই স্বাভাবিক বিষয়। এবং এটিতে গোলমাল দেখা দিলে কিন্তু খুবই সমস্যা! কিরকম?
Advertisment
গোটা শরীরের মধ্যে একমাত্র এই সেই অঙ্গ যেটি সমস্ত দূষিত পদার্থকে পরিশ্রুত করে এবং শরীরকে এককথায় ডিটক্স করে। ফলেই খারাপ পদার্থগুলো কিডনি কিংবা হার্ট পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে না। কিংবা রক্তও দূষিত হয়ে পড়ে না। লিভারের সমস্যা কিন্তু ফ্যাটি লিভারের থেকেও খারাপ কিছু সৃষ্টি করতে পারে। কী কী কারণে লিভারের সমস্যা হতে পারে?
অ্যালকোহল, অতিরিক্ত চিনি কিংবা কার্ব, দীর্ঘদিনের প্যাকেটজাত দ্রব্য, ডায়েটে ফাইবারের কমতি, কম পরিমাণে জল পান করা, রাসায়নিক ভিত্তিতে প্রস্তুত তেল এবং প্রাকৃতিক বিষের প্রভাব।
লিভার কীভাবে শরীরের প্রয়োজনে সহায়তা করে?
লিভার খাবারের ভেতর থেকে পুষ্টি জোগাড় করে সঙ্গেই শরীরকে শক্তি প্রদান করে। যার কারণেই খাদ্যের গুরুত্বপূর্ন সমস্ত উপাদান মানবদেহে থাকে। কিন্তু একটি অসুস্থ লিভার তার থেকেও খারাপভাবে শরীরকে প্রভাবিত করতে পারে। এটি খাদ্যকে ফ্যাটে বদলে দেয়, যার কারণেই মেটাবোলিজম ঘাটতি দেখা দিতে পারে। এবং তার সঙ্গেও রক্তে এনজাইমের মাত্রা বেড়ে গিয়ে বিপদ ঘটাতে পারে, লিভারে প্রদাহের মাত্রা বেড়ে যায়।
বিশেষ করে ফ্যাটি লিভার একবার দেখা দিলে কমতি জীবনযাত্রা থেকে খাওয়াদাওয়া সবকিছুতেই বদল আনতে হয়। এটিকে সুস্থ করা গেলেও শরীরের ওপর যথেষ্ট প্রভাব পড়ে।
লিভারের সমস্যা কীভাবে বুঝবেন?
হরমোনাল ইমব্যালেন্স অর্থাৎ প্রয়োজনের কমবেশি হরমোনের ক্ষরন।
হঠাৎ করেই ওজনের হ্রাস বৃদ্ধি এই কারণে হতে পারে।
বমি ভাব এবং সহজে এর সমস্যা মিটতে পারে না।
শারীরিক অ্যালার্জি এমনকি আগে দেখা যায়নি এইধরনের সমস্যা। অবশ্যই হজমের অভাব।
খাওয়াদাওয়ার পরেই ক্লান্তিবোধ, এবং মুখে দুর্গন্ধ।
মাথা ব্যথার সমস্যা এই কারণে দেখা যায়, এছাড়াও ঘুমের অভাব কিংবা সমস্যা দেখা যায়।
মেজাজের অদলবদল কিংবা মুড সুইং এই লিভারের সমস্যার অন্যতম লক্ষণ!
উচ্চ রক্তচাপ এবং উচ্চ কোলেস্টেরল এই সমস্যার কারণে দেখা দিতে পারে।