মানুষের বেঁচে থাকার জন্য কিন্তু সবথেকে বেশি দরকার পুষ্টি এবং নানা ধরনের উপাদেয়, তারমধ্যে থাকতে পারে প্রোটিন, ভিটামিন, এমনকি মিনারেলস অবশ্যই দরকার। সঠিক মাত্রায় না খেলে কিন্তু খুব মুশকিল, এতে দৈহিক বৃদ্ধি যেমন হবে না তেমন পরবর্তীতে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেবে। খাবার ঠিকভাবে না খেলে বেশি কিছু দৈহিক সংকেত মেলে যা দেখলেই বুঝে নিতে হয় আপনার শরীরে সবকিছু ঠিক আছে কিনা!
Advertisment
পুষ্টিবিদ মহিমা সাথিয়া বলছেন, অত্যধিক বেশি খাওয়া এবং কিছুই না খাওয়া দুটিই কিন্তু একেবারেই উচিত নয়। অনেকসময় মানুষ ইঙ্গিত পেলেও সেটিকে এড়িয়ে যান, আদৌ এতে কোনও লাভ হয় না। কীভাবে বুঝবেন শরীরে পুষ্টির মাত্রা সঠিক আছে কি না? অথবা সঠিক মাত্রায় খাওয়াদাওয়া করছেন কি না?
সারাদিনে যদি সবসময়ই হালকা খিদে খিদে ভাব থাকে তাহলে বুঝতে হবে যে একেবারেই আপনার শরীর ঠিক নেই। নির্দিষ্ট মাত্রায় খাবার খাওয়ার পরেও কিন্তু অনেক সময়ই খিদে ভাব থাকে। তাই এই ধরনের সমস্যা হলেই বুঝতে হবে যে ঠিকমতো খাওয়াদাওয়া হচ্ছে না।
জীবনের এক নির্দিষ্ট সময়, বেড়ে ওঠার প্রয়োজনীয়তা খুব বেশি। সেইসময় দেখা যায়, অন্যদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দৈহিক উন্নতি সেইভাবে হয়না। এবং সঠিকভাবে বেড়ে না উঠলে নিউট্রিশন এর অধগতি হতে পারে। তাই পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা কিন্তু অবশ্যই দরকার।
মেনস্ট্রুয়েশন সাইকেলে কিন্তু সমস্যা দেখা দিতে পারে। কারণ শরীরে ম্যাল নিউট্রিশনের অভাব দেখা দিলে এর ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়ে। এমনকি শরীরে সঠিক মাত্রায় ক্যালোরি না পৌঁছালেও কিন্তু সেটি খাদ্যাভাবের লক্ষণ।
হজমের সমস্যা এর এক অন্যতম উল্লেখ। সঠিকভাবে যদি হজম না হয় তার অর্থ খাবারের মাত্রা এবং পরিপাক ঠিক নেই। থি তার সঙ্গেই প্রভাব পড়ে ত্বক এবং চুলের ওপর। স্কিন শুষ্ক হয়ে যায় তারসঙ্গে এর জৌলুস কমতে থাকে। আবার অন্যদিকে, চুলের পাতলা ভাব বাড়তে থাকে। স্ক্যাল্প আরও শুকিয়ে যায়।