ছোট্ট শিশুদের মধ্যে অনেক ধরনের জেনেটিক সমস্যা দেখা যায়, সেটি চুলের ভিন্ন রং হোক কিংবা চোখের মণির ভিন্ন রং, তবে বাচ্চাদের শরীরে uncombable hair syndrome কিন্তু খুব বিরল, তবে এটি বেশ সমস্যা দায়ক একটি বিষয়। আসলে এটি এমন একটি জেনেটিক ডিসঅর্ডার যে একদম নরম তুলোর মত তবে যেদিক সেদিক দিয়ে বাড়তে থাকে।
Advertisment
বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, এই ধরনের চুল খুব সাবধানে আলতো হাতেই যত্ন করতে হয় এবং একেবারে কেমিক্যাল কিছু নয়, একদম প্রাকৃতিক অর্গানিক পদ্ধতিতে এর কেয়ার করতে হয়। কী কারণে এটি হতে পারে?
চিকিৎসক রিংকী কাপুর বলছেন, এর নামের মধ্যেই এর পরিচয় লুকিয়ে আছে? অর্থাৎ এটিকে সহজে আঁচড়ানো যায় না, বরং এই জাতীয় চুল বেশ রুক্ষ এবং শুষ্ক হয়। এটি বেশ বিরল একটি জেনে টিক কন্ডিশন যেটি সাধারণত তিন মাসের বাচ্চাদের থেকে ১২ বছর পর্যন্ত দেখা যায়। PAD13, TGM3, TCHH, এই জাতীয় চুলের প্রোটিন যখন সঠিক মাত্রায় কাজ করে না, স্ক্যাল্পে পুষ্টি যোগায় না… সেই থেকেই দেখা যেতে পারে। অনেক সময় এর অভাবে টাক পড়ার সমস্যাও দেখা যায়। চুলের এই সমস্যা মানুষ ভেদে রঙের পরিবর্তন ঘটায়। যেমন, কারওর রুপোলী আবার কারওর সোনালি রঙের, তবে সবদিকেই প্রসারিত এবং অনাবৃত। কোঁকড়া এবং পশমের ন্যায় চুল এর বৈশিষ্ট্য।
এর প্রতিকার কী?
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এখনও পর্যন্ত এর কোনও চিকিৎসা নেই। তবে কীভাবে এই জেনেটিক অসুস্থতাকে নির্মূল করা যায়, সেই নিয়ে পরিক্ষা চলছে। আশার খবর এটাই, যে বয়স বাড়লে এটি নিজে থেকে চলে যায়। সবার যে এক বয়সেই এটি সেরে যাবে সেটি নয়, তবে কমবে একদিন এটি নিশ্চিত।
কীভাবে এর যত্ন করবেন?
প্রথমেই বলা হয়েছে, চুলের সঙ্গে খুব নরম হতে হবে। একে জোরে আঁচড়ানোর চেষ্টা করলেই মুশকিল! একদম নরম চিরুনি কিংবা ব্রাশ ব্যাবহার করতে হবে। চুলের কোনও স্টাইলিং যেমন পারমিং অথবা রঙ বা রাসায়নিক প্রসাধনী ব্যাবহার করা চলবে না। চুল সমান করতে একেবারেই ব্লও ড্রাই ব্যাবহার করবেন না, এতে গোঁড়া আরও আলগা হয়ে যাবে। এবং অবশ্যই কোনও ওষুধ ব্যাবহার করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। নিজে থেকে কিছু না করলেই ভাল।