গরম হোক কিংবা ঠান্ডা অথবা বর্ষার দিন, জামা কাপড় পরে থাকতে থাকতে ঘাম এবং টক্সিনের প্রভাবে আন্ডার আর্ম কিংবা বগলের কালো দাগ অথব ফুসকুড়ির মত চামড়ার সমস্যা দেখা খুব স্বাভাবিক, সঙ্গে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা সহজেই খুব স্মেল করেন! এমন সময় শুধু ডিওড্রেন্ট কিংবা রোল অন সবসময় কাজ করে না, কিংবা পার্মানেন্ট মুক্তি দিতে পারে না, তাই সেই সময় বেশ কিছু টিপস বা উপদেশ মেনে চললে আপনার পক্ষে ভাল প্রমাণিত হতে পারে।
Advertisment
চিকিৎসক এবং আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ ডা সু বলছেন, ওয়াক্স হোক কিংবা পরিচর্চা হাতের ওপরের অংশের যত্ন অনেকেই নিতে থাকে, তবে বগল কিংবা আন্ডার আর্মের কথা কেউ চিন্তাই করে না। এর কারণে বেশ সমস্যা হতে পারে। দিনের পর দিন এর অভাবে বগলের কালো দাগ চামড়ার রোগের আকার নিতে পারে। তাহলে কী করবেন?
প্রথমে উপদেশ গুলি জেনে নেওয়া যাক?
স্নান না করে থাকলে একেবারেই চলবে না। প্রতিদিন পরিস্কার জল দিয়ে এবং পছন্দের বডি ওয়াশ দিয়ে অবশ্যই স্নান করুন। এতে স্কিনে জমে থাকা ব্যাকটেরিয়া এবং ময়লা সহজে ধুয়ে যায়।
এক্সফলিয়েশন, হল দ্বিতীয় পর্যায়। বিশেষ করে কালো জায়গায় পিগমেন্ট কম করতে এবং মৃত কোষগুলিকে দুর করতে এটি বেশ ভাল কাজ করে।
তৃতীয় হল, ময়েশ্চার বজায় রাখা। অনেক সময় আন্ডার আর্মের শেভিং করতে করতে কালো দাগ বাজে রূপ নেয়, এমন সময় এটিকে আদ্র রাখা খুব দরকারি। এমনকি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে চুলকানি পর্যন্ত কমে যায়।
এবার দেখা যাক ট্রিটমেন্ট কী কী রয়েছে?
রেটিনয়েড ক্রিম এবং পিলস :- রেটিনলস রেটিনা এ সমৃদ্ধ - এটি স্কিনকে এক্সফলিয়েশনের মাধ্যমে উজ্জ্বল করে এবং নতুন কোষের সৃষ্টি করে।
কেমিক্যাল পিলস :- রেজুভেনেশন এবং রিপেয়ারিংয়ের মাধ্যমে কেমিক্যাল পিল স্কিনকে উজ্জ্বল করে তোলে। হাইপার পিগমেন্টেশন এর মাত্রা কম করে, ডিস কলারেশনের হাত থেকে বাঁচায়। স্কিন টোন উজ্জ্বল এবং সুন্দর করে তোলে।
টিরোসিনাসে ইনহিবিটর্স :- হাইড্রকুইনান, কজিক অ্যাসিড, এমনকি লিকোরিস এক্সট্র্যাক্ট এর মাধ্যমেই বগলের কালো দাগ দূরে করা যায়।
লেজার ট্রিটমেন্ট :- যদি একেবারে এই কালো দাগ তুলতে হয়, তবে লেজারের থেকে ভাল আর কিছুই হতে পারে না। স্কিনের পুরু ভাব কমিয়ে এই পদ্ধতিতে, দাগের মাত্রা কম করা সম্ভব!