সারাদেশে করোনা গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। দিল্লি, কলকাতা, মুম্বাই, হরিয়ানা সর্বত্রই সংক্রমণ ক্রমশ পারদ চড়িয়ে আশঙ্কার স্তর সৃষ্টি করছে। এতদিন বেশ মৃদু উপসর্গের মধ্যে দিয়েই মানুষ যাচ্ছিলেন। তবে ভাইরাসের প্রভাব কিন্তু যারা টিকাপ্রাপ্ত নয় তাদের মধ্যেই বেশি দেখা যাচ্ছে। যেমন দেশের নানান শহরে শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগছেন অনেকেই - তাদের মধ্যে বেশিরভাগই ভ্যাকসিন গ্রহণ করেননি।
যদিও বা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে যে বেশিরভাগ মানুষই সম্পূর্ণ ভ্যাকসিনেটেড তারপরেও তারা আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে তাদের মধ্যে অসুস্থতার পরিমাণ অনেক কম। মৃদু উপসর্গ হালকা জ্বর কিংবা সর্দি কাশি। তবে যারা এখনও দুটি ডোজ গ্রহণ করেননি তাদের মধ্যে কিন্তু সমস্যার রেশ সাংঘাতিক। তাদের মধ্যে অক্সিজেনের মাত্রা কমতে দেখা গেছে। রাত হলেই গা ঘামার লক্ষণ মিলেছে।
মুম্বাইয়ে, প্রচুর পরিমাণে অক্সিজেনের চাহিদা বাড়ছে। এবং বারবার চিকিৎসকরা এই বিষয়েই জানাচ্ছেন যে, সহরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা অর্থাৎ প্রেসার, আস্থ্মা রোগীর কিন্তু বেশি সতর্ক হওয়া উচিত তবেই কমবে সমস্যা। যারা একটা ডোজ নিয়েছেন কিংবা এখনও একটাও নেননি তাদের প্রাণের ঝুঁকি থাকছে। কম করে ৯৫% মানুষ সম্পূর্ণ টিকা গ্রহণ করেনি। এই ঝলক অন্তত তাই বলে দিচ্ছে।
কম বেশি ৪০ থেকে ৫০ বছরের মানুষদের মধ্যে ঝলক মিলছে অক্সিজেন হ্রাসের। তার মধ্যেও বেশিরভাগ মানুষ মাস্ক ছাড়াই রাস্তায় ঘুরছেন। ওমিক্রন এত বেশি মিউটেশন সমৃদ্ধ যে এটির থেকে সহজেই ছড়িয়ে পড়তে পারে ভাইরাস। সেই কারণেই শরীরের প্রয়োজনীয় ইনহেলার, মাস্ক এগুলি সঙ্গে রাখতেই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
অক্সিজেনের কমতি যাতে না হয় সেই কারণে মজুত করা রয়েছে। তবে শরীরের নিয়ম বিধির আগে কিছুই না। তাই বারবার নাসাল ড্রপ এবং গারগেল করতে পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। একথা বারবার WHO এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে টিকা কারণে ভয়াবহতা কমে যাচ্ছে একেবারেই। আইসোলেশনে থাকলেও ৪/৫ দিনেই সুস্থ হচ্ছেন সকলে। সঙ্গেই নিয়ম মেনে বেশ কিছু ওষুধ থাকছে বটে। আজ থেকে শুরু হয়েছে তৃতীয় পর্যায়ের টিকাকরণ - ষাট ঊর্ধ্ব বয়েসের ব্যক্তিদের টিকার মাধ্যমেই ইমিউনিটি বাড়ানোর এই প্রক্রিয়া আজ থেকে অব্যাহত।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন