বাবা মায়ের অমতে বিয়ে করতে চায় না ১০,০০০ ছাত্রছাত্রী। বৃহস্পতিবার প্রেম দিবসের সকালে বাবা মায়ের কাছে শপথ নিয়েছে তারা। এখন প্রশ্ন, ভালোবাসার দিনে কেন এমন কঠিন সিদ্ধান্ত? উত্তর, এই ভাবনা সম্পূর্ণটাই লাফটার থেরাপিস্ট কমলেশ মাসালওয়ালার। গুজরাতের সুরাটে একটি 'লাফটার ক্লাব, ক্রাইং ক্লাব' পরিচালনা করেন তিনি। এছাড়াও শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে মাসালওয়ালা বলেন, "নতুন প্রজন্মের কাউন্সেলিং করার সময় একটি বিষয়ে অবগত হয়েছি। দেখেছি একাধিক ছেলেময়েদের প্রেমের বিরোধী হন তাদের বাবা মা। আমি অবশ্যই তাদের প্রেমের বিপক্ষে নই, কিন্তু তাতেও আমি যথাযথ তাদের পরামর্শ দিয়ে থাকি। পরিবারের গুরুত্ব এবং তাদের বাবা মায়ের জন্য কি করা উচিত এই সমস্ত কিছুর ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করি তাদের। কিছু ক্ষেত্রে বাবা-মায়েরা এই বিষয়ে আপোস করেন এবং মেনেও নেন, কিন্তু দেখা যায়, সেসব সম্পর্কে ভবিষ্যতে খুশি থাকে না ছেলেমেয়েরা।"
শপথ গ্রহণের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার শহরের প্রখ্যাত সাইকোলজিস্ট ডাঃ মুকুল চোকসির লেখা আট লাইনের এক কবিতা পড়ল ওই দশ হাজার ছাত্রছাত্রী। মাসালওয়ালা বিভিন্ন স্কুলের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন, অনেকেই তার এই ধারণাকে স্বাগত জানিয়েছেন। "প্রায় ২০ টি স্কুল আজকে অংশগ্রহণ করেছে। অনুষ্ঠানটি স্কুল প্রাঙ্গনেই স্কুলের সময়ের মাঝে অনুষ্ঠিত হয়। ঘটনাটির ভিডিও তৈরি করেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।"
পরবর্তীকালে স্কুলের প্রধানকে অভিনন্দন জানানোর জন্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে বলে জানান মাসালওয়ালা। তিনি বলেন, "আমাদের বার্তা হলো, ছাত্রছাত্রীরা যেন বাবা মায়ের পরামর্শ নিয়ে জীবন সঙ্গী বেছে নেয়।" ১৭ বছর ও তার বেশি বয়সের ছাত্রছাত্রীরা এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছে। তবে সবাইকেই অংশগ্রহণ করতে হবে এমনটা বাধ্যতামূলক ছিল না।
এনজিও পরিচালনাকারী বিকাশ দোশী বলেন, "কমলেশ মাসালওয়ালা আমাদের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত, তিনি যখন তাঁর এই ধারণার কথা আমাদের জানান, তখন আমরা তাঁকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নিই। ২০ টিরও বেশি স্কুল থেকে পড়ুয়ারা এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছে আজকে। ঘটনাটির পিছনে মূল উদ্দেশ্য হল, পড়ুয়ারা বাবা মায়ের ইচ্ছাকে যেন গুরুত্ব দেয়, সেটা তাদের বোঝানো। ভালোবাসার দিনে আমরা বাবা মায়ের প্রতি সচেতনতা সৃষ্টি করতে চাই।"
Read the full story in English