আয়ুর্বেদের মূল উদ্দেশ্যই হল মানুষ এবং প্রকৃতির মধ্যে মেল বন্ধন। মানবদেহের শরীরের স্বার্থে প্রকৃতির প্রভাব সবথেকে বেশি। সুদূর অতীত থেকেই এটি চলে আসছে, এবং সময় যখন বর্তমানের তখন শুধু ওষুধ নয়, মানুষকে মানসিকভাবে সুস্থ রাখতে গেলেও আয়ুর্বেদের বেশ কিছু উপদেশ কিন্তু মেনে চলা ভাল।
Advertisment
আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ এবং পুষ্টিবিদ বিজয় লক্ষ্মী ইয়ানা মান্দ্র বলছেন, আয়ুর্বেদের এমন অনেক উপদেশ আছে যেগুলি জীবনের মানে খুঁজে পেতে সাহায্য করে। এর সাধারণ অর্থই হল ভাল থাকার এক নিদারুণ উপায়! সুতরাং সেই বিষয়ে দেখতে গেলে বেদিক ধারণাগুলি জীবনের সঙ্গে সবথেকে বেশি কাজ করে। কারণ পুরনো বিশ্বের সেই নিয়ম যথেষ্ট পরিমাণে ভাল কাজ করতে পারে। সেগুলি কী কী?
আয়ুর্বেদ বলছে, তুমি অভিনব.... মানবদেহের দশা গুলিই আমাদের ধারণা দিতে পারে যে আমরা কতটা অভিনব, কত নিত্যনতুন কাজ আমরা করতে পারি। এর কারণে আমরা নিজেদের শক্তি সম্পর্কেও ধারণা করতে পারি।
আয়ুর্বেদ বলছে, নিজের দায়িত্ব নিজেকে নিতে শিখতে হয়। বাস্তবের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হয়। নিজস্ব ডিসিপ্লিন এবং তৃপ্তি পাওয়া এই দুটি বেশ ভালমত্রায় মনের সঙ্গে জড়িত। দুটি থাকলে মানসিক শান্তি খুব তাড়াতাড়ি আসে।
আয়ুর্বেদ বলছে, জীবন জলের মত বহমান। জীবনের প্রতি পর্যায়ে কিছু না কিছু হয়ে চলেছে। নিজের মত করে সবকিছু হয়না। বরং একে নিজের মত এগোতে দিন...সবকিছুকে মানিয়ে নেওয়ার শিক্ষাই দিয়ে থাকে আয়ুর্বেদ।
আয়ুর্বেদ জানাচ্ছে, নিজেকে সবথেকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। নিজস্বতা হারালে চলবে না, সবথেকে প্রথমে নিজের কথা ভাবুন, তারপরে বাকি সব। নিজেকে যত পারবেন মোটিভেট করুন।
শেষ বিষয়টি হল, প্রকৃতিই আসল জীবন। একে আঘাত করা একেবারেই চলবে না। জীবকে যতই এগিয়ে যাও না কেন, প্রকৃতির বুকে পা রাখতেই হবে। তাই সেদিকে বিবেচনা করা খুব দরকার। এর সঙ্গে জড়িয়ে থাকলে খুবই ভাল।
তাই আর যাই হোক, জীবনে হাল ছাড়বেন না। এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যান।