ক্যানসার এমন একটি রোগ যার ইঙ্গিত মিলতে বেশ কিছুদিন সময় লাগে, অনেকের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় পর্যায় কিংবা তৃতীয় পর্যায়েও এর হদিশ মেলে। আবার প্রাণহানীর ঝুঁকিও থাকে তাদের মধ্যে। সাধারণত মাছ মাংস ডিম এই জাতীয় খাবার মানুষের সবথেকে প্রিয় হতেই পারে তবে তার অর্থ এমন নয় যে সবুজ শাক পাতা খাওয়া একেবারেই উচিৎ নয়! চিকিৎসক মিনাল শাহ বলছেন, যে শাক সবজির সেবনে যেমন কোলেস্টেরল কমে, ব্লাড প্রেসারের মাত্রা হ্রাস পায় তেমনই মেটাবোলিজম ঘাটতি কমে। তবে বর্তমানের নতুন গবেষণা বলছে, হেলদি ডায়েট অথবা সবুজ শাক সবজি, ক্যান্সারের মত মারণ রোগের মাত্রাও কমাতে পারে।
বিশ্ব ক্যানসার গবেষণা সংস্থার পক্ষ থেকে জানা গেছে, নিরামিষ আহার কিংবা সবুজ শাক সবজি সেবন করলে ক্যান্সার প্রতিরোধে সেটি সাহায্য করে। এমনকি যারা নিরামিষাশী তাদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। বিএমসি মেডিসিনে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, গবেষণাটি ইউকে বায়ো ব্যাংকের ৪৫০,০০০ জনেরও বেশি লোকের খাদ্য গোষ্ঠী বিশ্লেষণ করেই এই সিদ্ধান্তে এসেছে। যেখানে আমিষ ভোজী এবং নিরামিষ ভোজী মানুষদের আলাদা করেই গবেষণা করা হয়।
যাদেরকে এই গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল তাদের মধ্যে কেউ সপ্তাহে ৫ বার মাংস খান, কেউ ৫ বারের কম আবার কেউ মাংস নয় মাছ খান, আবার কেউ শুধুই নিরামিষ খান এবং সবথেকে বড় কথা তারাই চূড়ান্ত অর্থাৎ তারাই একমাত্র যারা এই রোগের কবলে সহজে পড়বেন না। গবেষণায় কী জানা গিয়েছে?
যারা নিয়মমাফিক প্রতিদিনই মাংস খান, তাদের তুলনায় যারা কম মাংস খায় এনাদের ক্যান্সারের কবলে পড়ার সম্ভাবনা ২% কম এবং ১৪% কম নিরামিষ ভোজী দের ক্ষেত্রে।
Bowel cancer- এর ক্ষেত্রে কম মাংস ভক্ষণ কারীদের সেই সংখ্যা প্রায় ৯% কম।
যাদের মেনোপোজ শুরু হচ্ছে তাদের নিরামিষ আহার বেশ ভাল কাজ করতে পারে, বেশি মাংস খেলে ব্রেস্ট ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
পুরুষদের ক্ষেত্রে প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি নিরামিষাশী দের অনেক কম, প্রায় ১১%।
চিকিৎসক অয়ন বসু একেবারেই সহমত জানিয়ে বলেন, নিরামিষ আহার গ্রহণ করলে শুধুমাত্র কোলোরেক্টাল নয় বরং গ্যস্ট্রোর নানা সমস্যা হ্রাস করতে পারে। বিশেষ করে অভ্যন্তরীণ ক্যানসার যেমন কোলন ক্যানসার হোক কিংবা লিভার ক্যানসার এগুলির ঝুঁকিও হ্রাস করে। সাধারণত সেই মাত্রা ১০ থেকে ২০% - শরীরের মেদ, কোষের স্থূলতা যত কমবে ততই মঙ্গল। এবং তাতেই ক্যানসারের হ্রাস হতে পারে।