শিশুমনে সোশাল মিডিয়ার প্রভাব যে ভালো নয়, সে আমরা সবাই কম বেশি জানি। কিন্তু সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে আসা তথ্য বলছে ভিডিও গেম শিশুমনের বিকাশে সহায়ক। ইতালির সেক্রেড হার্ট ক্যাথলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা সেরকমই বলছে।
কানাডার সাত থেকে ১১ বছর বয়সি প্রায় চার হাজার শিশুর ওপর সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। ভিডিও গেম, টেলিভিশন, কম্পিউটার এবং সোশাল মিডিয়া , এই চারটি মাধ্যমে তুলনামূলক বিচার করে গবেষণা করা হয়েছিল। দৈনিক গড়ে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা এসবেই ডুবে থাকে অধিকাংশ বাচ্চা। গবেষণা বলছে ভিডিও গেম ছাড়া বাকি তিনটিতে আসক্ত শিশুরা খুব সহজেই অবসাদের শিকার হয়ে পড়ে। চূড়ান্ত হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ার ঘটনাও নতুন নয়। তবে ভিডিও গেমের ক্ষেত্রে ফলাফল অন্যরকম মিলেছে।
আরও পড়ুন, পরীক্ষায় পাস করলে তবেই বিয়ে! ২০২০ থেকে সরকারের নতুন নিয়ম
যে সমস্ত শিশু দিনে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা ভিডিও গেম খেলে কাটিয়েছে, তাদের মানসিক বিকাশ আর পাঁচজনের থেকে তাড়াতাড়ি হয় বলে গবেষণায় প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।
তবে চিকিৎসক গবেষকরা একটি বিষয় সম্পর্কে সতর্ক করেছেন বারবার। ধুলো মাটি মেখে সবুজ বিকেলে হুটোপুটিতেই মনের বিকাশ সবচেয়ে ভালো হয়। মনে রাখতে হবে গবেষণাটি কিন্তু চারটি আলাদা আলাদা কার্যকলাপের তুলনামূলক বিচারের ফলাফল। একবিংশ শতকের কচিকাচাদের সবুজের সঙ্গে মোলাকাত খুবই কম, সেটি মাথায় রেখেই এই সমীক্ষা করা হয়েছিল। বাবা মায়েদের অনুরোধ, অন্ধ ভাবে এই সমীক্ষার মতামত মেনে চলবেন না। স্কুল ফেরত আপনার সন্তান যদি খেলার মাঠটাই বেছে নিতে চায়, ওকে চার দেওয়ালের মধ্যে আটকাবেন না।
দিল্লির ফোর্টিস মানসিক স্বাস্থ্য প্রোগ্রামের কনসালট্যান্ট ও পরিচালক সামির পারখ জানান, ভিডিও গেম মানসিক দক্ষতা বাড়ানোর সবচেয়ে চিত্তাকর্ষক উপায় নয়। পারস্পরিক যোগাযোগের মাধ্যমে ব্যক্তিগত সংযোগ তৈরি না করলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম রোবোট তৈরি হবে।