আজ বিজয়া দশমী। আকাশে বাতাসে বিষাদের রেশ। অপেক্ষা আরও এক বছরের। এদিনই বাপের ভিটে থেকে শ্বশুড় বাড়ি কৈলাশে ফেরেন দেবী উমা। বিজয়া দশমী তিথিতে ঘট নাড়ানোর মাধ্যে দিয়ে দেবীর বিসর্জন সম্পন্ন হয়। ঘট বিসর্জনের পর আর প্রাণ থাকে না বিগ্রহে। কিন্তু তারপরেও হয় পুজো হয়। কেন?
Advertisment
দশভুজার আরেক নাম 'অপরাজিতা'। বিজয়া দশমীর পুজো শেষে হয় দেবীর আরেক রূপ- ‘অপরাজিতা’র পুজো। অপরাজিতার অর্থ, দেবী কখনও পরাজিত হন না। এই দেবী চতুর্ভূজা। নীল বর্ণের দেবী ত্রিনয়না। তাঁর মাথায় থাকে চন্দ্রকলা। চারহাতে থাকে শঙ্খ, চক্র, বরমালা এবং অভয়মুদ্রা।
শাস্ত্র মতে, পুজোস্থলের পূর্বদিকে এই পুজো করা হয়। অষ্টদল পদ্ম এঁকে সেখানে রাখা হয় সাদা অপরাজিতা গাছ। পুজো করা হয় এই গাছকেই। পুজো শেষে ডান হাতে ডুরি’র মতো করে সেই লতা পরেন ভক্তরা। শাস্ত্র বলে, যুদ্ধযাত্রার শ্রেষ্ঠ সময় এই সময়। আগে অনেক রাজা অপরাজিতা পুজো করার পরে যুদ্ধযাত্রায় বের হতেন। এই যাত্রা মানে 'বিজয়লক্ষ্মী' বরণ।
নবপত্রিকা মানে দুর্গা। এই নবপত্রিকার সবকটি পাতা কিন্তু বাঁধা থাকে সাদা অপরাজিতা’র লতা দিয়েই। আর এই পুজো করা হয় দশমী’র বিসর্জন মন্ত্র পাঠের ঠিক পরেই।