Vijayadashmi Wishes 2018: আজ মণ্ডপে মণ্ডপে সকাল থেকেই বাজছে বিদায়ের সুর। মায়ের আজ দোলায় গমন। অর্থাৎ কী না দোলায় চড়ে আজ শুক্রবার, মর্ত্যের বাপের বাড়ি ছেড়ে কৈলাসে স্বামীর কাছে ফিরবেন দুর্গতিনাশিনী। অশুভ শক্তির বিনাশ, এবং যা কিছু শুভ ও কল্যাণকর তার বিজয় ঘোষণার দিন আজ। প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে আজ শেষ হবে বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব, শারদীয় দুর্গাপূজা। আজ বিজয়া দশমী।
শাস্ত্র বলে, শাপলা এবং শালুক দিয়ে আজ দেবীর পূজা হবে। তাই ঢাকের বোলে বাজতে থাকে, 'ঠাকুর থাকবে কতক্ষণ, ঠাকুর যাবে বিসর্জন'। মণ্ডপে মণ্ডপে শোনা না গেলেও যেন লাউড স্পিকারে বেজে চলেছে, 'নবমী নিশি যেন আর না পোহায়, তোকে পাবার ইচ্ছা মাগো কভু না ফুরায়....।'
এবছর দুর্গার গমনাগমন কোনোটাই শাস্ত্রমতে শুভ নয়। এবছর তিনি আসেন ঘোটকে বা ঘোড়ায়। যার পরিণতি হলো 'ছত্রভঙ্গ স্তুরঙ্গমে'। ঘোড়ায় আগমন হোক বা গমন, সমাজে বিশৃঙ্খলা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা, এমন কী তৈরি হতে পারে যুদ্ধের পরিস্থিতিও। সামাজিক, রাজনৈতিক, এবং সাংসারিক নানা ক্ষেত্রে বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে, এমনই বলেন শাস্ত্রজ্ঞরা।
রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা, উত্থান-পতন যদিও চলতেই থাকে। কিন্তু দুর্গার ঘোটকে আগমন হলে সামাজিক স্তরেও দেখা দিতে পারে নানান সমস্যা। চতুর্দিকে ছড়াতে পারে অন্যায়, অনাচার, অশান্তি। এছাড়াও বিভিন্ন দুর্ঘটনা বাড়ার সম্ভাবনা, এবং সেই দুর্ঘটনা থেকে অপমৃত্যু ঘটবে বলে মনে করা হয়। এছাড়াও নাকি বাড়তে পারে নানা ধরনের রোগের প্রকোপ।
বৃহস্পতিবার অথবা শুক্রবার যদি দেবীর গমনাগমন হয়, তাহলে তিনি দোলায় যাতায়াত করেন৷ দুর্ভাগ্যবশত, শাস্ত্রে বলে, দেবী দুর্গা দোলায় চড়ে গমনাগমন করলে তার ফল মর্ত্যে বহু সংখ্যক মৄত্যু ৷ এই মৄত্যু পরিণতি হতে পারে প্রাকৄতিক দুর্যোগের বা যুদ্ধ হানাহানির৷ কাজেই ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত।
আজ সকাল থেকেও রাজ্যের মণ্ডপে মণ্ডপে নেমেছে মানুষের ঢল। ঢাক, শঙ্খধ্বনি, মন্ত্রপাঠ। সঙ্গে উলুধ্বনি আর সিঁদুর খেলা। ধান, দুর্বা, মিষ্টি দিয়ে দেবীকে এক বছরের মত বিদায় জানানো।