Viral Diseases: ভাইরাল জ্বরে অ্যান্টিবায়োটিক নয়

Viral Diseases: Types, Causes and Treatment: কী এই ভাইরাল ফিভার বা ভাইরাল ডিজিস, এর থেকে নিজেকে বাঁচানোর উপায়ই বা কী, জানাচ্ছেন মেডিসিন স্পেশালিস্ট ডাঃ রাজা ভট্টাচার্য্য।

Viral Diseases: Types, Causes and Treatment: কী এই ভাইরাল ফিভার বা ভাইরাল ডিজিস, এর থেকে নিজেকে বাঁচানোর উপায়ই বা কী, জানাচ্ছেন মেডিসিন স্পেশালিস্ট ডাঃ রাজা ভট্টাচার্য্য।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

Viral Diseases Types and Treatment: ভাইরাল জ্বর থেকে বাঁচবেন কীভাবে, জানুন।

Types of Viral Diseases, Symptoms and Treatment: ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ প্রায় শেষের পথে, এখনও জাঁকিয়ে ঠান্ডা না পড়লেও ভাইরাসের থেকে কিন্তু রেহাই পাচ্ছেন না কেউই। আবহাওয়া পরিবর্তনের এই সময়টায় অন্যান্য সমস্যাগুলোর পাশাপাশি যেই রোগটা সর্বাধিক চোখে পড়ে তা হল ভাইরাল ফিভার বা ভাইরাল ডিজিস। যার প্রথম উপসর্গ হল ধুম জ্বর। আর জ্বর মানেই অনেকই শুধু বোঝেন মুঠো মুঠো অ্যান্টিবায়োটিক। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, রোগটা ঠিক মতো না জেনে ভুল ওষুধে এই সামান্য সমস্যাও মারাত্মক আকার নিতে পারে। তাই জ্বর হলেই অ্যান্টিবায়োটিক হজম না করে রোগটা শনাক্ত করুন প্রথমে।

Advertisment

কী এই ভাইরাল ফিভার বা ভাইরাল ডিজিস, এর থেকে এড়িয়ে যাওয়ার উপায়ই বা কী, জানাচ্ছেন মেডিসিন স্পেশালিস্ট ডাঃ রাজা ভট্টাচার্য্য।

আরও পড়ুন: Skin Care Tips: শীত আসছে, ডাক্তারবাবু বলছেন, ‘ত্বকের যত্ন নিন’

কী এই ভাইরাল ফিভার
জেনেটিক উপাদান যেমন DNA, RNA এবং প্রোটিন কোটের তৈরি ছোটো সংক্রামক। সাধারণত শরীরের কোষগুলিতে আক্রমণ করে এইসব ভাইরাস। প্রসঙ্গত, সমস্ত ভাইরাল ডিজিস ছোঁয়াচে নয়। তবে কিছু ক্ষেত্রে হাঁচি কাশির মধ্যে দিয়ে ছড়াতে পারে এই সমস্যা। পাশাপাশি যৌন সংসর্গ থেকে ছড়াতে পারে HIV-র মতো ভাইরাস। পোকামাকড়ের কামড় থেকেও ভাইরাল ডিজিসে আক্রান্ত হতে পারেন যে কেউ।

Advertisment

রেসপিরেটরি ভাইরাল ডিজিস
এই ভাইরাস সাধারণত রেসপিরেটরি ট্র্যাকের ওপরের অংশ এবং নিচের অংশকে আক্রমণ করে।
ফ্লু, ঠান্ডা লাগা, রেসপিরেটরি সিনসিয়াল (syncytial) ভাইরাস ইনফেকশন, অ্যাডেনো ভাইরাস ইনফেকশন, SARS (severe acute respiratory syndrome), প্যারা ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস ইনফেকশন।

গ্যাস্টোইন্টেস্টিনাল ভাইরাল ডিজিস
নরোভাইরাস ইনফেকশন, রোটাভাইরাস ইনফেকশন, অ্যাডেনোভাইরাস ইনফেকশন, অ্যাস্ট্রোভাইরাস ইনফেকশন

এক্সানথেমাটোস (Exanthematous) ভাইরাল ডিজিস
মিজসলস, রুবেলা, চিকেন পক্স, চিকুনগুনিয়া ভাইরাস ইনফেকশন ইত্যাদি

হেপাটিক ভাইরাল ডিজিস
হেপাটাইটিস এ, হেপাটাইটিস বি, হেপাটাইটিস সি, হেপাটাইটিস ডি, হেপাটাইটিস ই

কিউটেনিয়াস (cutaneous) ভাইরাল ডিজিস
মুখ বা স্কিনের বিভিন্ন স্থানে হার্পিস, মোলাস্কা কন্টাজিওসাম স্কিনে এফেক্ট হয়

হেমোরাজিক ভাইরাল ডিজিস
এবোলা, ডেঙ্গু, জন্ডিস এবং অন্যান্য জ্বর

নিউরোলজিক ভাইরাল  ডিজিস
পোলিও, ভাইরাল মেনিনজাইটিস, ভাইরাল এনকেপালাইটিস

এছাড়াও বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এস জি ভাইরাল ফিভার ইত্যাদি সংক্রমন হতে পারে।

উপসর্গ
বিভিন্ন ভাইরাসের ক্ষেত্রে উপসর্গগুলি আলাদা। সাধারণত জ্বর, সর্দি, কাশি, হাঁচি, গা-হাত-পা ব্যথা, পেট ব্যথা, বমি, মাথা ব্যথা, ডায়েরিয়া, বা চামড়ায় নানান সমস্যা হতে পারে।

সাবধানতা অবলম্বন করুন
আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় ছাড়াও যেকোনও সময় ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত হতে পারেন আপনি। কাজেই শুরু থেকেই নিচের সাবধানতাগুলো অবলম্বন করুন।

প্রয়োজনীয় টিকা নিন সময়মতো।
সংক্রমণ হয়েছে এমন ব্যক্তির থেকে দূরে থাকুন।
আবাহাওয়া পরিবর্তনের সময় সতর্ক থাকুন।
রাস্তা থেকে ফিরে ভাল করে হাত, মুখ ধুতে হবে।
প্রয়োজনে জল ফুটিয়ে খান এবং বাজার থেকে খাবার এনে তা ভাল করে ধুয়ে নিন।
ছুঁচ, ইঞ্জেকশন, যৌন সংসর্গে সতর্ক হন।

ঝুঁকি কাদের
সিওপিডি-র রোগী, ধূমপান করেন এমন ব্যক্তি, হার্টের সমস্যা রয়েছে, এক্সট্রিম অফ এজ অর্থাৎ বৃদ্ধ এবং ছোটোরা, এছাড়াও যাঁদের অন্যান্য রোগের ইতিহাস রয়েছে তাঁরাও ঝুঁকিতে রয়েছেন।

এ ক্ষেত্রে ঠাণ্ডা লাগা, পেট ব্যথা হয় এমন হাজারো ভাইরাল ডিজিস রয়েছে, যা খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সেরে যায়, তবে বেশ কিছু ভাইরাল ডিজিস রয়েছে যা মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। খেয়াল রাখবেন, অ্যান্টিবায়োটিকে ভাইরাল ফিভার সারে না। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সঠিক চিকিৎসা প্রয়োজন। পাশাপাশি বিশ্রাম এবং হাইড্রেশন অন্যতম চিকিৎসা।