আজ বিশ্বকর্মা পুজো। একবছর পরে আবারও সেজে উঠেছে কলকারখানা থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং সংস্থা। দেব বিশ্বকর্মা যে সৃষ্টির আরেক নাম। তাঁর আরেক নাম দেবশিল্পী। তাঁর তৈরি প্রতিটা জিনিসই যে নিখুঁত এবং অনন্য।
Advertisment
সম্পূর্ন বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের নকশা তৈরি করেছিলেন দেব বিশ্বকর্মা। এই পুজোর বৈশিষ্ট্য অনেক, তাঁর কারণ? প্রতিবছর প্রতিটা পুজোর সময় তারিখ নির্ঘণ্ট বদলালেও এই পুজোর দিনক্ষণ সর্বদা এক থাকে। বিশ্বকর্মা পুজো সেপ্টেম্বর মাসের ১৭ তারিখ। বিশ্বকর্মা পুজো সূর্যের গতির ওপর নির্ভর করে। তিনি সর্বদর্শি এবং কর্মঠ।
পুরাণ মতে, দেবদেবীদের আসন থেকে বিষ্ণুর 'সুদর্শন চক্র', মহাদেবের 'ত্রিশূল', দেবরাজ ইন্দ্রের 'বজ্র' সর্ব অস্ত্রের স্রষ্টা তিনি। মর্তে, বেহুলা-লক্ষিন্দরের 'লোহার বাসরঘর' বানিয়েছিলেন বিশ্বকর্মা। পুরীতে 'নীলমাধবের' মূর্তি সেজে উঠেছিল তাঁর হাতে। বিশ্বকর্মা পুজোর দিন, শুধু লোহা কলকারখানা নয় বরং কাঠের কারখানা কিংবা অন্যান্য অনেক জায়গায় দেবতার পূজা করা হয়। এমনকি প্রতি বাড়িতে নিজেদের বাহনকে এইদিন ফুল মালা দিয়ে পুজো করা হয়।
হিসেব মত, তিনিই বিশ্বের প্রথম ইঞ্জিনিয়ার। শ্রী কৃষ্ণের দ্বারকা শহর থেকে মায়া সভা সবকিছুই তাঁর দ্বারা নির্মিত। এইদিন, বাংলার আকাশে দেখা যায় ঘুড়ির ঝাঁক। প্রস্তুতিও চলে অনেকদিন। মাঞ্জা দেওয়া থেকে শুরু করে, ঘুড়ির লড়াই সবই চলে জমিয়ে। বিশ্বকর্মা নিজে স্থাপত্য এবং কর্মের বিচারক। বিশ্বকর্মার এক হাতে হাতুড়ি আরেকহাতে কুঠার, বাহন হিসেবে ঐরাবত রয়েছেন।
দেশের নানান ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজেও এইদিন পালিত হয় বিশ্বকর্মা পুজো। আর তার চেয়েও, বিশ্বকর্মা পুজো অর্থাৎ, দুর্গাপুজোর আর মাত্র কিছুদিন। এতেই বাঙালির সবথেকে বেশি আনন্দ।