চোখ প্রতি মানবের জীবনে আলোর ন্যায়। যার চোখের জ্যোতি রয়েছে তার কাছে সবকিছুই চেনা এবং সুন্দর। জন্ম নেওয়ার পর থেকে মানুষের চোখের জ্যোতি এবং তার প্রভাব একেক রকম হয়। কারওর চোখে দেখার ক্ষমতা একইরকম থাকে আবার কেউ কেউ নিজেদের বদ অভ্যাসের কারণেই এটিকে কমাতে থাকে। প্রচুর পরিমাণে মোবাইল, কম্পিউটার এবং টিভির সামনে বসে থাকতে থাকতে চিকিৎসার পরিভাষায় যাকে পাওয়ার বলে অর্থাৎ নিজের দৃষ্টিশক্তির দ্বারা কোনও কিছু দেখার ক্ষমতা হ্রাস পেতে থাকে। প্রয়োজন হয় চশমার কিংবা লেন্সের।
Advertisment
অনেক সময় দেখা যায়, চোখের পাওয়ার এতটাই মারাত্মক জায়গায় গিয়ে পৌছায় যেখানে নানান রোগের সৃষ্টি হয়। কেউ কাছের তো কেউ দূরের আবার কেউ সিলিন্ড্রিকাল নানান ধরনের পাওয়ারের উল্লেখ থাকে। বেশি পাওয়ার মানেই সেই থেকে দেখায় যেমন অস্বস্তি তেমনই মাইগ্রেন, স্পন্ডিলাইটিস এর মত সমস্যার সূত্রপাত। অনেকেই ছোটবেলা থেকে ওষুধ, চোখের ড্রপ ব্যবহার করে থাকেন কিন্তু দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখতে গেলে আয়ুর্বেদের থেকে ভাল কিছুই হয় না। যেমন?
চোখে ঠান্ডা জল দিয়ে ধীরে ধীরে ঝাপটা দেওয়া খুবই দরকারি। এতে চোখের ধুলোবালি যেমন পরিষ্কার হয়ে যায় তেমনি অন্য অর্থেও ভাল। মাথায় রাখতে হবে, শুধু ঝাপটা দিলেই হল না - মুখে জল নিয়ে তারপরেই এই কাজ করতে হবে।
ঘি দিয়ে জ্বালানো প্রদীপ এর দিকে তাকিয়ে থাকলে সেটি চোখের পক্ষে বেশ ভাল কাজ করে। তবে মনে রাখবেন যেন মাটির প্রদীপ হয়। এতে চোখের আরাম যেমন হয় তেমনই এটি ডার্ক সার্কেল বা চোখের নীচের কালো দাগ দুর করে।
ছাগলের দুধ ভীষণ পুষ্টিকর এটা সবাই জানে তবে এটি চোখের পক্ষে এত ভাল আগে জানতেন? ছাগলের দুধের মধ্যে তুলো ভিজিয়ে রেখে সেটিকে যদি চোখে কিছুক্ষণ চেপে রাখা যায় তবে যেমন ব্যথা দূর হয় তেমনই আরাম পাওয়া যায়।
ফ্রিজে রাখা ঠান্ডা শশা চোখের জন্য বেশ ভাল! গোল করে কেটে এটিকে চোখের উপর রেখে দিলে প্রদাহ কমে, ফোলাভাব কমে যায় এবং নানা ব্যাকটেরিয়া ভাইরাস দূর হয়। ফলেই চুলকানি এবং অ্যালার্জির সমস্যা থেকে মুক্তি।