করোনা সংক্রমণ থেকে এখনও রেহাই নেই! দেশজুড়ে টেস্ট যেমন হচ্ছে তেমনই কিন্তু মানুষের মৃত্যু সংখ্যাও ক্রমশ বাড়ছে। বাচ্চা থেকে বয়স্ক রেহাই নেই কারওর। কমেছে সময়ের মেয়াদ। এখন দিন সাতেক থাকতে হচ্ছে আইসলেশনে তবে তার পরেও, সাতদিন কেটে গেলেও যদি আপনি বেশ কিছুদিন অসুস্থ বোধ করেন তবে কিন্তু সমস্যা। অনেক সময় দেখা যাচ্ছে রিপোর্ট নেগেটিভ আসছে, কিন্তু শরীরে উপসর্গ এবং অস্বস্তি কমার নয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে গতবছর শেষের দিকেই জানানো হয়েছিল এমন অনেক রোগীর হদিশ মিলছে, যাদের মধ্যে দীর্ঘ দিন কোভিড থেকে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ মিলছে। কম করে এক থেকে দুইমাস থাকছে সেই সমস্যা। তবে বিশ্বজুড়ে একে এখনও ক্ষতিকর বলেই ধরে নিচ্ছেন চিকিৎসকরা। WHO এর তরফে জানানো হয়েছে যদি সুস্থ থাকতে চান তবে আর কিছুদিন দেখে নেওয়া উচিত পরিস্থিতি।
গবেষণা থেকে কী জানা যাচ্ছে?
স্কটল্যান্ড এর এক গবেষণা দল জানাচ্ছে বিশেষ করে যাদের মধ্যে দীর্ঘ দিন কোভিডের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে তারা কম করে ১০০ টির বেশি উপসর্গের আওতায়। অনেকেই তাড়াতাড়ি প্রথম পর্যায়ে সুস্থ হয়ে যাচ্ছেন তবে পরবর্তীতে বিভিন্ন ধরনের সূত্রপাত হচ্ছে তাদের শরীরে, এগুলি থেকেও কিন্তু প্রচুর রকমের অসুবিধা হতে পারে। খুব ধীরে ধীরে মানুষ এর কবলে পরছেন এবং অত্যন্ত দেরিতে সুস্থ হচ্ছেন।
সহজেই নজরে আসে না দীর্ঘ লক্ষণ?
বেশিরভাগ চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন যত মানুষ দীর্ঘ কোভিড থেকে আক্রান্ত কিংবা অসুস্থ বোধ করছেন তাদের মধ্যে কিন্তু বেশ কিছু কমন উপসর্গ যেমন সর্দি হাঁচি কাশি এগুলি খুব মাত্রায় দেখা যাচ্ছে। আবার কিছু কিছু রোগ দেখা যাচ্ছে না, সেগুলিই কিন্তু শরীরের অভ্যন্তরীণ ক্ষতি করছে এবং বিশেষ করে মানুষকে মানসিকভাবে ভেঙে ফেলছে। মানুষ অনেককিছু ভুলে যাচ্ছে, শরীরের সঙ্গে কিছুই মেলাতে পারছেন না। তাই এই বিষয়ে একটু হলেও তৎপরতা প্রয়োজন। বিশেষ করে ব্লাড প্রেসার এবং সুগারের রোগীদের।
কী ধরনের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে?
সাধারণত করোনা ভাইরাস মানেই শ্বাসযন্ত্র এবং হার্ট জাতীয় সমস্যাই বেশি। সঙ্গে কিডনির সমস্যাও দেখা যায়। তবে এই ক্ষেত্রে বেশ কিছু ভিন্ন ধরনের লক্ষণ যেমন,
দুর্বলতা এবং খিদে কমে যাওয়া : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে সবথেকে প্রথম এবং ক্রনিক উপসর্গ এটাই দেখা যায়। বরং এমনও হয় যে দুর্বল বোধ করলেও খেতে ইচ্ছে করে না, এমন সময় বেশি দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভাল। মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতে গেলেও সঠিক পরিমাণে খাওয়াদাওয়া করা প্রয়োজন। সুতরাং গাফিলতি করবেন না।
দ্বিতীয় যেটিকে উল্লেখ করেছেন তার মধ্যে, ব্রেইন ফগ অথবা স্মৃতিভ্রম কে চিহ্নিত করা হয়েছে। মানুষের বেশ কিছু দিনের জন্য স্মৃতি বিস্মৃতি হচ্ছে। প্রতিদিনের জীবন থেকেই অনেক কিছু হারিয়ে যাচ্ছে, সুতরাং প্রয়োজনে ভাল সাইকোলজিস্ট কে দেখান।
অবশ্যই দীর্ঘদিন ধরে গা হাত পা ব্যথা। এটি কিন্তু আপনাকে প্রচন্ড কষ্ট দিতে পারে। তাই সেটিকে বুঝেই কাজ করুন। অত্যধিক এইসময় ব্যায়াম করা কিংবা নিজের শরীরকে আঘাত দেওয়া খারাপ প্রমাণিত হতে পারে। তাই ভাল করে শরীরকে সতেজ করুন। অতিরিক্ত অকারণে ব্যথা হলেই বুঝবেন এটি কোভিডের দীর্ঘ অসুস্থতা।
যদি রাত হলেই ঘুম উরে যায়, একেবারেই না আসার মত পরিস্থিতি অথবা শরীরে ঘাম জাতীয় অস্বস্তি এই ঠান্ডায় অনুভব করেন তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন