যে প্রচন্ড মাত্রায় গরম পড়েছে রাস্তায় বেরোলেই এখন শুধুই পিপাসা এবং পাল্লা দিয়েই লেবুর সরবত থেকে নানা ফলের রস। তবে এসবের মাঝেও শুধু জলের পরিপূরক আর কিছুই নেই। এটি যেমন শরীরে শক্তি যোগায় তেমনই কোনও সমস্যাও ঘটায় না। জলের প্রয়োজন সবথেকে বেশি শরীরে। এর থেকে ভারসাম্য বজায় থাকে শরীরে।
Advertisment
সকালে ঘুম থেকে উঠেই জল পান করা সকলের পক্ষে খুব দরকারী, এই বিষয়টি অনেকেই জানেন কিন্তু আসল কারণ সম্পর্কে আবার অনেকেই জানেন না। শরীর সুস্থ রাখার প্রথম অভ্যাস হল, সঠিক পরিমাণে জল খাওয়া কারণ দেহের ৭০% জল। তাই গরমে শুষ্কতার হাত থেকে বাঁচতে জল খাওয়া খুব দরকার।
জল কীভাবে শরীরের ভারসাম্য রক্ষা করে?
গরমে শরীরের প্রদাহ মাত্রা বেড়ে গেলে, শরীর গরম হয়ে যায়। সাধারণ ভাবেই তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে শরীর খারাপ হতে থাকে। সুতরাং এর থেকে বাঁচতেই জল সবথেকে বেশি কার্যকরী। জলের থেকে শরীরের তাপমাত্রা কমে। ঠান্ডা ভাব বজায় থাকে।
নাক, চোখ এবং মুখের কোষগুলির টিস্যু বেশ নরম হয়, একে আদ্রতা প্রদান করে, শরীরকে সুস্থ রাখে। অনেক সময় দেখা যায় চোখের পাতা বেশি পড়ছে, নাকের পাশে অনেক সময় শুষ্ক ভাব দেখা যায়। এর থেকে ভাল রেহাই পাওয়া যায়।
দৈহিক অঙ্গ এবং শারীরিক টিস্যু গরমের কারণে প্রভাবিত হয়। কোষের মেটাবোলিজম মাত্রা, অগ্নি হ্রাস করতে জল সবথেকে ভাল উপায়।
অক্সিজেনের সঙ্গে বিরাট ভূমিকা রয়েছে জলের। অর্থাৎ রক্ত কোষ গুলিতে পুষ্টি এবং অক্সিজেন সরবরাহ করে।
কিডনির সমস্যা কম করে। দেখা যায় যে জল কিডনির অ প্রয়োজনীয় বস্তু গুলিকে দূরে সরিয়ে একে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। কিডনির স্টোন হওয়ার সবথেকে বড় কারণ কিন্তু জল না খাওয়া।
প্রতিদিন আমরা স্নান, ঘাম, এবং মূত্রের সঙ্গে প্রচুর পরিমাণ জল ত্যাগ করি তাই খেয়াল রাখতে হয় এর ঘাটতি যেন পূরণ হয়। সেই কারণেই সঠিক মাত্রায় জল খাওয়া খুব দরকার। হজমের সমস্যা হোক কিংবা অন্যান্য কিছু, জলের বিকল্প আর কিছুই নেই।
মহিলাদের ক্ষেত্রে সারাদিনে কম করে ২ লিটার জল এবং পুরুষদের ক্ষেত্রে ৩ লিটার জল খাওয়া খুব দরকার। এতে অর্ধেক সমস্যার শেষ হয়।