মার্চ মাস পড়তে না পড়তেই রোদের তেজ দেখলে ভিমড়ি খাওয়ার মত। রীতিমতো বেলা বাড়লে একধরনের গরম হাওয়া এবং তারসঙ্গে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার মত সমস্যা। অনেক সময় লক্ষ্য করলে দেখা যায়, ঘাম হচ্ছে না খুব একটা - তবে গরম এক হলকা কিন্তু শরীর খারাপ করার এক মোক্ষম কারণ হিসেবে কাজ করছে। অতিরিক্ত গরম এবং রোদ লেগে পেট গরম, ঠান্ডা লাগার মত অনুভূত হচ্ছে।
Advertisment
সময় বলছে আদ্যোপান্ত বসন্ত তবে আবহাওয়ার চিত্র বলছে গুমোট এক গরম, সূর্যের প্রখর তেজ সঙ্গেই শরীর শুকিয়ে যাওয়ার মত এক সমস্যা। স্কিনের অবস্থা খুবই খারাপ এই রোদের তাপে, পুষ্টিবিদ এবং আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ অপর্ণা পদ্মনভন বলছেন, এই গরমের শুরুতেই নিজেকে সতেজ এবং শান্ত রাখার চেষ্টা করুন! কিন্তু কীভাবে?
জল অবশ্যই ঠান্ডা খান, উষ্ণ জল খাওয়াও এই সময় উচিত নয়। শরীর যত ঠান্ডা রাখা যায় ততই মঙ্গল। মেথি এবং মৌরি অল্প করে ফুটিয়ে সেটিকে পান করলে শরীর ঠাণ্ডা থাকবে। অবশ্যই সেই জল ঠান্ডা করেই পান করবেন।
খাবারে মশলার ভাগ কমিয়ে নিন। এইসময় বেশি তেল ঝাল, টক কিংবা অ্যাসিড জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত নয়। কম আদা, রসুন এবং লঙ্কা খাওয়া বন্ধ করুন। এই রোদে গরমে শরীর নিজে থেকে গরম হয়ে গেলেও বেশ মুশকিল।
খুব টাইট এবং সিল্কের জামা পরা বন্ধ করা উচিত। যতটা পারবেন সুতি অথবা সেমি সুতির কাপড় পড়ুন। এবং টাইট নয়, ঢিলাঢালা পোশাক পরলেই এইসময় ভাল। তাহলে শরীরে ঘাম প্রক্রিয়া যেমন বজায় থাকবে তেমনি গরম অনুভব করবেন না।
দিনের বেলা নয়, চাঁদের আলোয় ঘিরে বেড়ানোর চেষ্টা করুন। সঙ্গেই খুব কঠিন ব্যায়াম শরীরচর্চা করার বদলে রাতের বেলা প্রাণায়াম করলেই শরীর ভাল থাকবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ। দেখবেন যেন বেশি ঘাম না হয়, শরীরের অতিরিক্ত জল বেড়িয়ে গেলে অসুস্থ হয়ে পড়বেন।
চেষ্টা করুন প্লাস্টিক এবং স্টিলের বদলে তামা তথা মাটির পাত্রে খাবার কিংবা জল পান করতে। এতে শরীর ঠান্ডা থাকে। এতে ফ্রিজ যেমন লাগবে না তেমনই ঠান্ডা জল পান করার সুযোগও পাবেন।
আমাদের নিউজলেটার সদস্যতা!
একচেটিয়া অফার এবং সর্বশেষ খবর পেতে প্রথম হন