বর্ষায় ম্যালেরিয়া, লেপটোসপিরোসিস, ডেঙ্গু, টাইফয়েড, হেপাটাইটিস এ, হেপাটাইটিস ই-এর মতো রোগ বেশি হয়। বাড়াবাড়ি হলে কিডনি ফেলইয়োর হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।
আজকাল ঘরে ঘরে কিডনির সমস্যা।বর্ষাকালে কিডনির সংক্রমণ অন্য ঋতুর চেয়ে বেশি হয় সাধারণত। কিন্তু দেহের সার্বিক সুস্থতার জন্য কিডনি সুস্থ থাকা খুব দরকার। দেহের যত দূষিত তরল রয়েছে, সব পরিস্রুত করে দেহকে পরিষ্কার রাখা কিডনির আসল কাজ। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে কিডনির।
Advertisment
বর্ষাকালে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের জন্য, এবং জোলো আবহাওয়া থাকার জন্য মশা মাছি বেড়ে যাওয়ার ঘটনা খুব স্বাভাবিক। সে কারণেই বর্ষায় ম্যালেরিয়া, লেপটোসপিরোসিস, ডেঙ্গু, টাইফয়েড, হেপাটাইটিস এ, হেপাটাইটিস ই-এর মতো সংক্রমক রোগ বেশি হয়। এই সমস্ত রোগে কিডনির প্রদাহ হয়। কিডনি ফুলে যায়। বাড়াবাড়ি হলে কিডনি ফেলইয়োর হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে, জানালেন কোচবিহারের নেফ্রোপ্লাস ডায়ালিসিস সেন্টারের নেফ্রোলজিস্ট ডঃ অজিত কুমার সিং।
এই বর্ষায় আপনার কিডনি সুস্থ রাখতে নীচের বিষয়গুলির ওপর খেয়াল রাখুন
বর্ষাকালে জল থেকে সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি হয়। ফিল্টার্ড জল খান অথবা জল ফুটিয়ে নিন।
এই সময়ে বাইরের খাবার এ চেষ্টা করবেন। বাড়িতে রান্না করা খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। রাস্তা অথবা বাইরের খাবারে কী জল ব্যবহার করা হচ্ছে, আপনি জানতে পারছেন না।
খাবার খাওয়ার আগে এবং পরে ভালো করে হাত ধোবেন। যেকোনোও ইনফেকশন সবচেয়ে বেশি ছড়ায় হাত থেকে।
কাটা ফল খাবার অভ্যাস বর্জন করুন। ফল কাটার সঙ্গে সঙ্গেই খেয়ে নিন। আর এই সময়ে ফলের খোসা ছাড়িয়ে খাবেন। বর্ষাকালে ফলের বাইরে প্রচুর জীবাণু থাকে, জল দিয়ে ধোয়ার পরেও যায় না।
বর্ষাকালে বৃষ্টি ভেজার লোভ সামলানো খুব কঠিন। শুধু মাথায় রাখুন, বৃষ্টিতে ভিজে বাড়ি ফেরার সঙ্গে সঙ্গে স্নান করে নিন। স্নানের আগে বাড়ির কিছু জিনিস স্পর্শ করবেন না।
বাইরে থেকে ঘরে ঢোকার সময় অবশ্যই জুতো খুলে নিন। এই সময় বাইরের জুতো পরিষ্কার না করে কোনও অবস্থাতেই ঘরে আনবেন না।
বর্ষাকালে সুগার লেভেল নিয়মিত নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। শরীরের গ্লুকোজ লেভেল বেড়ে গেলে এই সময় কিডনির ভয়ঙ্কর ক্ষতি হয়।