'নামে কী বা আসে যায়?' চারশ বছর আগেই বলে গেছেন শেক্সপিয়র। তাতে কী? নামে এবং পদবীতে আজও আসে যায়। না, সমাজ ব্যবস্থা বা সমাজ কাঠামোর মতো গুরুগম্ভীর বিষয়ের কথা হচ্ছে না। হচ্ছে এক ওয়েবসাইটের কথা। সম্প্রতি এক ক্রীড়া সাংবাদিক নিজের নামে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে গেছিলেন কোনও এক ওয়েবসাইটে। নাম, পাসওয়ার্ড প্রয়োজনীয় সব ঘর পূরণ করার পর ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে জানানো হয়, নামের শেষাংশে 'আপত্তিকর' শব্দ থাকায় ওই নামে অ্যাকাউন্ট খুলতে দেওয়া হবে না।
নাতালি ওয়েইনার নামের ওই ক্রীড়া সাংবাদিক তৎক্ষণাৎ সেই ছবি তুলে টুইট করেন। তলায় ব্যঙ্গ করে লেখেন, "নিঃসন্দেহে এটা এখনও পর্যন্ত আমার সাথে ঘটা সবচেয়ে ভাল ঘটনা।" ইংরেজিতে তাঁর পদবী 'wiener' (উচ্চারন weener) শব্দটির সঙ্গে মেলে, যার অপভাষায় রূপান্তর হলো পুরুষাঙ্গ।
টুইটারে নাতালির পোস্ট ভাইরাল হওয়ার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই আসতে থাকে নানা প্রতিক্রিয়া।
সবচেয়ে অবাক করা ঘটনা, প্রতিক্রিয়া থেকে জানা গেল, নাতালি একা নন। প্রায়ই এমন ঘটনা ঘটে লোকজনের সঙ্গে।
এখন দেখা যাচ্ছে কানা ছেলের নাম পদ্মলোচন না রাখলেই যে সমস্যার সমাধান হয়ে যায়, এমন ভাবার কোনও কারণ নেই।
সমস্যা হতে পারে যেখানে সেখানে এবং যখন তখন। নাম কিমবা পদবীর মধ্যে অংশ বিশেষেও যদি এমন শব্দ থাকে, যার ইংরেজি অর্থ আপত্তিজনক বা অশ্লীল, সেক্ষেত্রে এই সমস্যায় পড়তে হতে পারে নাম অথবা পদবীধারীকে।