New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/12/cats-65.jpg)
উৎসবের চুটির দিনে বাঙালির চাই একটু বেড়ানো।
ওমিক্রন বাড়বাড়ন্তে করোনার যাবতীয় বিধিনিষেধ মানতে ভুলবেন না।
উৎসবের চুটির দিনে বাঙালির চাই একটু বেড়ানো।
রাত পেরোলেই বর্ষবরণের উৎসবে মাতবেন তামাম বিশ্ববাসী। সেই সঙ্গে নতুন বছরকে ওয়েল কাম জানাতে, রেডি বাঙালিরাও। উৎসবের ছুটির দিনে বাঙালির চাই একটু বেড়ানো। আর এই সময়টা এক্কেবারে পারফেক্ট। বছর শেষে ২৫ ডিসেম্বর থেকে নতুন বছরের শুরু, এই সময়ে সারাবছরের ক্লান্তি ভুলে নতুন বছরের জন্য এনার্জি সংগ্রহ করতে সকলেই প্রায় ঘুরতে যান। তাই কোথায় যাবেন স্থির করার আগে এক নজরে দেখে নিতে পারেন এই সেরা কয়েকটি জায়গা। তবে অবশ্যই কোভিড বিধি মেনে। যতটা সম্ভব ভিড় এড়িয়ে ঘুরুন।
দিঘা: ছোট ট্যুরের মধ্যে ঘুরে আস্তে পারেন দিঘা। তিন দিনের জন্য ছুটি পেলে প্ল্যান করতে পারেন। তিন দিনের প্যাকেজ ট্যুর প্ল্যান করা যাবে। দুজনের তিনদিনের জন্য খরচ ১০ হাজার টাকার মধ্যেই।
মন্দারমণি: যেতে পারেন মন্দারমণির সমুদ্র সৈকতে৷ সমুদ্র ভালবাসলে মন্দারমণি আদর্শ জায়গা। থাকা খাওয়া মিলে খরচ পড়বে ১০,০০০ টাকা। তবে দিঘার থেকে খরচ সামান্য বাড়তে পারে মন্দারমণিতে।
তাজপুর: আপনি একদম শর্ট ট্রিপের মধ্যে ঘুরে আসতে পারেন তাজপুর। শান্ত নিরিবিলি জায়গা পছন্দ করলে এই জায়গা আপনার জন্য আদর্শ। মাথাপিছু খরচ পড়বে ৫০০০ টাকার মত।
বকখালি: ছুটির দিনগুলোতে বেরিয়ে আসতে পারেন বকখালি। খরচ অনেক কম। দুদিনের দুজনের খরচ পড়বে প্রায় ৩,০০০ টাকা।
সুন্দরবন: আগে থেকে বুকিং করে রাখলে সুন্দরবন যেতে পারেন। মাথাপিছু খরচ ৩ থেকে ৪ হাজার টাকার কাছাকাছি। জঙ্গলের শান্ত নিরিবিলি পরিবেশ আপনার পছন্দ হবেই।
মুশির্দাবাদ: ট্রেন চালু হয়ে গিয়েছে। তাই বেরিয়ে আসতে পারেন মুশির্দাবাদ, ইতিহাসের শহর। মাথাপিছু সেখানেও খরচ পড়বে চার হাজার টাকা।
দারিংবাড়ি: যাদের জঙ্গল ভাল লাগে তারা বেরিয়ে আসতে পারেন দারিংবাড়ি। মাথাপিছু খরচ পড়বে চার হাজার টাকা। সবুজের সমারোহে মন শরীর সতেজ হয়ে যাবে৷
মায়াপুর: এই কঠিন সময়ে পাহাড়, জঙ্গল, সমুদ্র এসব কিছুই দেখতে ইচ্ছে করছে না। শান্তির খোঁজে যেতে পারেন মায়াপুর। গাড়ি বুকিং করে নিতে পারেন। অথবা ট্রেন ধরে মায়াপুরে পৌঁছে যেতে পারেন৷ খাবারের সুবন্দোবস্ত রয়েছে। মাথাপিছু ৭১ টাকার কুপন কাটলেই ভোগ পাবেন।
দার্জিলিং: দার্জিলিং মানে বাঙালিদের স্বপ্নের জায়গা, বারেবারে সেখানে বাঙালিরা ভিড় জমায়। আর দার্জিলিং ভ্রমণের খরচ খুব একটা বেশি না এক্ষেত্রে সবাই মিলে গেলে এবং সেখানে থাকা ম্যালের ধারে বাঙালি হোটেলে খেলে মাথাপিছু এক্ষেত্রে খরচ পড়বে প্রায় ৬ হাজার ৫০০ টাকা করে।
শান্তিনিকেতন: মনের আরাম, প্রাণের আনন্দ, আত্মার শান্তির জায়গা শান্তিনিকেতন। বিশ্বভারতী ক্যাম্পাস ঘুরে দেখতে পারেন। কঙ্কালীতলায় পুজো দেন বহু পুণ্যার্থী। আর মুখ্য আকর্ষণ সপ্তাহ শেষের হাট। নানা রকম হাতের কাজের জিনিস পাওয়া যায় সোনাঝুরি এবং খোয়াই বনের হাটে। হাতে সময় কম থাকলে মাত্র দু’দিনের জন্য আপনার মন ভাল করার ঠিকানা হতেই পারে শান্তিনিকেতন। খরচ মাথা পিছু প্রায় ৩০০০ টাকা। দুদিনের জন্য।
জলদাপাড়া, গরুমারা: অন্তত দিন পাঁচেকের ছুটি যদি ম্যানেজ করতে পারেন এই শীতে পাড়ি দিন উত্তরবঙ্গে। জঙ্গল আপনাকে স্বাগত জানাতে তৈরি। জঙ্গল সাফারির ব্যবস্থা রয়েছে। আবার হাতির পিঠে চড়েও ঘুরে পারেন। কিন্তু করোনার পর নিউ নর্মালে কোন কোন সু্বিধে পাবেন, তা আগে থেকে জেনে প্ল্যান করুন। নানা রকম পাখি দেখারও সুযোগ পাবেন আপনি।
তবে ওমিক্রন বাড়বাড়ন্তে করোনার যাবতীয় বিধিনিষেধ মানতে ভুলবেন না। স্যানিটাইজার, স্প্রে সঙ্গে রাখুন। প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ নিয়ে যেতে ভুলবেন না।
Read full story in English