খাবার যেমন স্বাস্থ্যের পক্ষে জরুরি তেমনই কিছু ভুলভ্রান্তি শরীরে নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তার মধ্যে অদ্ভুত ধরনের ফুড কম্বিনেশন কিন্তু মারাত্মক। খেয়াল করলে দেখা যাবে, অনেকেই না জেনে এই ধরনের ভুল করেই থাকেন। কোন খাবারের সঙ্গে কোনটা আসলেই যায় না সেটা কিন্তু মনে রাখা দরকার। দীর্ঘদিন এই ভুল চলতে থাকলে সত্যিই বিপদ।
Advertisment
খাবারের মধ্যেই অনেক মানুষ সারাদিন সারারাত ডুবে থাকেন। এবং সকালের খাবার থেকেই কিন্তু মানুষকে এই সম্পর্কে সচেতন থাকতে হয়। আয়ুর্বেদ বলছে কিছু অদ্ভুত এবং বিপরীত ধর্মী খাবার একসঙ্গে খাওয়ার ফলে কিন্তু শরীরে হজমের সমস্যা দেখা যায়, এবং অত্যধিক মাত্রায় টক্সিন বেড়ে যেতে পারে। যার থেকে জলের কমতি এবং অ্যাসিড বেড়ে যাওয়া এই ধরনের লক্ষণ দেখা যায়।
শুধু একসঙ্গেই না, বরং কিছু সময়ের গ্যাপে এই খাবারগুলি একসঙ্গে খেলেও কিন্তু মুশকিল। শরীরে প্রদাহ প্রয়োজনের তুলনায় বেড়ে গেলে তখন আকস্মিক বমি কিংবা ব্লটিং সবকিছুই যথেষ্ট ভোগাতে পারে। যেমন ;
প্রথমত, দুধ এবং কোল্ড ড্রিঙ্কস :- এই দুই খাদ্য সামগ্রী একসঙ্গে না খেলেই ভাল। বিশেষ করে মাথায় রাখতে হবে দুধ কিন্তু সবসময় বা দিনের যেকোনও সময় একেবারেই খাওয়া উচিত নয়। সেই সঙ্গে কোল্ড ড্রিঙ্ক মানেই পেটের ভেতর একধরনের জ্বলুনি ভাব এবং সেই থেকে অ্যাসিড হয়ে গিয়ে, ভয়ঙ্কর বিপদ ঘটতে পারে। এই ধরনের সমস্যা পরবর্তীতে পেটে পাথর সৃষ্টিও করতে পারে।
দ্বিতীয়, দুধের সঙ্গে কলা :- সকাল সকাল দুধ, পাউরুটি, কলা অনেকেই খান। তবে এরপর থেকে এই ভুল আর করবেন না। বরং খেয়াল রাখবেন যেন, কলা বেলার দিকে খাওয়া হয়। দুটি উপাদেয় দুধ এবং কলা একসঙ্গে খেলে হজমের গোলমাল যেমন হবে তেমনই শরীরে নানা রাসায়নিক বিক্রিয়া দেখাও দিতে পারে।
তৃতীয়, মিষ্টি এবং টক ফল :- ফল খেতে ভালবাসলেই যে সব ধরনের ফল একসঙ্গে খেতে হবে এটি কিন্তু একেবারেই ভুল। বরং টক ফল মিষ্টি ফলের সঙ্গে সেবন করে সেটি একেবারেই কাজে লাগে না। উল্টো দিকে শরীরে ফ্লুইডের মাত্রা কমতে থাকে। সকলের দিকে টক ফল না খেলেই ভাল। আর বিকেলের পরেও ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
অতিরিক্ত হজমের সমস্যা হলে কী করবেন?
বেশি কিছুই না! শুধু ঠান্ডা জল কিংবা অল্প বিটনুন মেশানো জল পান করুন। অথবা,