শীতকালীন পরিবেশে ঠান্ডা জলের নাম শুনলেই যেমন কাঁপুনি দিয়ে আসে, গরমে কিন্তু এই ঠান্ডা জলের সঙ্গেই সবথেকে ভাল বন্ধুত্ব হয়ে যায় মানুষের! কেন? ঠান্ডা জল পানীয় হিসেবে হোক কিংবা স্নানের ক্ষেত্রে, আরামের বিষয়ে এর বিকল্প কিছুই নেই। ঠান্ডা জল কিন্তু সাময়িক ভাবে নয় দারুণ ভাবে শরীরের পক্ষে উপকারী!
Advertisment
কেউ কেউ বিশ্বাস করেন ঠান্ডা জলে শীতকালে স্নান করলেও সেটি শরীরের পক্ষে লাভদায়ক! সাময়িক একটু ঠাণ্ডা লাগে বটে তবে এরপর সব একদম ফিট। ঠান্ডা জলে স্নান করলে গায়ের চামড়া থেকে পেট সবকিছুই ঠিক থাকে। অতিরিক্ত গরম জলে স্নান করলে কিন্তু ব্রহ্ম তালু গরম হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পেটের গোলমাল সঙ্গেই রুক্ষ ত্বক, চুলের শুষ্কতা এবং সঙ্গে আরও কত কী! যেহেতু গরম একদম শিয়রে তাই এই সময় বিশেষ করে ঠান্ডা জলে স্নান করা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ, এটি শুধু শরীর স্বাস্থ্য ভাল করে তাই নয় বরং মন মানসিক সবই ঠিক থাকে। কেন ঠান্ডা জলে স্নান করা ভাল?
সারাদিনের শক্তি যদি প্রয়োজন হয় তবে, ঠান্ডা জলে স্নান করা খুব দরকারী। এতে শরীরের প্রদাহ ঠিক থাকে, মানুষ যথেষ্ট কাজ করার এনার্জি পায়।
কেউ কেউ আছেন যারা অত্যধিক শরীর খারাপে ভোগেন। তাদের জন্য মাথায় রাখতে হবে অল্প দিনেই সুস্থ হতে গেলে ঠান্ডা জলে স্নান করা খুব দরকার। শরীরের ইমিউনিটি ভাল থাকে ঠান্ডা জলে স্নান করলে।
ওজন কমছে না? এর কারণ গরম হলে স্নান করা নয় তো! ঠান্ডা জলে স্নান করলে কিন্তু অতিরিক্ত মেদ সহজেই কমে যায়। সবথেকে বড় কথা যাদের স্ট্রেচ মার্ক রয়েছে তাদের অবধারিত ঠান্ডা জলে স্নান করা দরকার।
ঠান্ডা জল মাথায় ঢাললে মানুষের সক্রিয় ভাব বাড়ে। ইঙ্গিত সহজেই নজরে পরে। মন এবং চেতনা একসঙ্গে কাজ করে। সুতরাং মাথায় রাখবেন, ঠান্ডা জল আপনার কাজে দারুণ আসতে পারে।
ঠান্ডা জল গায়ে পড়লে মানুষের সহ্যক্ষমতা বাড়ে। ব্যথা বেদনা সহ্য করার লক্ষণ দেখা যায়। এটি পেশী এবং গাট এর সংযোগস্থলে রক্ত সঞ্চালন কে সঠিক রাখে। অনেকেই আছেন যারা এই গরমেও সূর্যের তেজে গরম হওয়া জলেও স্নান করেন, এটি খুব একটা ভাল কাজ নয়, কারণ এর থেকে শরীর গরম হওয়া, কষে যাওয়া খুব স্বাভাবিক- এড়িয়ে চললেই ভাল।