শারীরিক সমস্যার সূত্রপাত ঠিক কোথায় এবং এর ইঙ্গিতই বা কী, সেই নিয়ে অনেক সমস্যা রয়েছে। অনিকি বুঝতে পারেন অন আদৌ তারা কোন রোগে ভুগছেন। প্রতিটি রোগের একটি নির্দিষ্ট সংকেত থাকে, সেটিকে ধরে নিয়েই চিকিৎসা করা প্রয়োজন! ঠিক তেমনই কিডনির রোগের প্রথম ধাপেও বেশকিছু ইঙ্গিত দেখা যায়। দেখা যাক অ্যাওয়াক মেডিকেলস এর তথ্য ঠিক কী বলছে.....
Advertisment
কিডনির গুরুত্ব শরীরে অনেক। বিশেষ করে হার্টের সঙ্গে গভীর যোগ এটির। শরীরের অপ্রয়োজনীয় বজ্জ্য পদার্থকে সরিয়ে সঠিক পরিমাণে ফ্লুইড সরবরাহ করে এটি। রক্ত পরিশোধন করে, শরীরে যাতে সুস্থ রক্ত প্রবাহিত হতে পারে সেইদিকে নজর রাখে। আর যখনই কিডনি সঠিক ভাবে কাজ করতে পারে না, তখনই বেশ কিছু উপসর্গ দেখা যায়।
কিডনির রোগ গুলির মধ্যে ক্রনিক কিডনির রোগ, পলিসিস্টিক কিডনি ডিজিস, ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন, কিডনি স্টোন এগুলি মানবদেহে বেশি বাসা বাঁধে। প্রত্যেকটিই সঠিক সময়ে চিকিৎসার অধীনে না গেলেই কিন্তু প্রাণনাশের মত ঝুঁকি থাকতে পারে। তবে যে সংকেত গুলি দ্বারা রোগের সম্পর্কে জানবেন!
প্রথম, হাত পা এবং গোড়ালি সবকিছুই ধীরে ধীরে ফুলতে শুরু করবে। এবং সেটি কোনওভাবেই সেঁক দ্বারা কমবে না। সঙ্গেই গোড়ালি ব্যথা এবং পা নিচে ফেলা দায় হয়ে যায়।
দ্বিতীয়, অত্যন্ত পরিমাণে ক্লান্তি অনুভূত হয়। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমিয়েও রেহাই মেলে না। সঠিক পরিমাণে খেলেও নিস্তার নেই।
তৃতীয়, সারাক্ষণ শরীরে অস্বস্তি এবং বমি বমি ভাব দেখা যায়। অনেকেই বলে থাকেন সামান্য জল খেলেও গা পাকিয়ে ওঠে।
চতুর্থ, খিদের পরিমাণ কমে যায়। পছন্দের খাবারগুলি খেতে ইচ্ছে করে না। অনেক সময় মনে হয় খাওয়া দরকার তবে, তারপরেও সম্ভব হয়না।
পঞ্চম, যেহেতু কিডনির সঙ্গে রক্তের সম্পর্ক রয়েছে, তাই অনেকসময় শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যায়। কিডনির থেকে হৃদরোগের সমস্যা খুব স্বাভাবিক বিষয়। তাই সেই বিষয়টিকে মাথায় রাখা উচিত, যারা আগে থেকেই হার্টের রোগী তাদের সাবধানে থাকা উচিত।
ষষ্ঠ, নয়তো অত্যধিক মাত্রায় বাথরুম হবে আর নয়তো একেবারেই বন্ধ হয়ে যাবে। এটি কিন্তু সাংঘাতিক লক্ষণ, তাই খেয়াল রাখুন। অনেকসময় মানুষ পড়ে গিয়েও তাদের এই কিডনির সমস্যা শুরু হয়ে যায়...অবশ্যই চিকিৎসা করান।