আট থেকে ন-ঘণ্টা অফিসে কাটানো এই সময়টা নেহাৎ কম নয়। অফিসের জন্যই সবচেয়ে বেশি স্ট্রেস ও মানসিক চাপ তৈরি হয় বলেই অভিযোগ করে থাকেন অধিকাংশ মানুষজন। এর কারণও আছে বৈকি। ক্লায়েন্টের ডেডলাইন আছে, বসের চাপ আছে, রয়েছে হিংসুটে সহকর্মীরাও। তবে এ হেন অফিসকেও নিজের অনুকূলে নিয়ে আসা যায় কিন্তু! অসম্ভব শোনাচ্ছে? উপায় আছে। হাতের কাছেই। পড়ে দেখুন কয়েকটা টিপস্।
ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে দিন শুরু করুন। মাথায় রাখবেন প্রতিটি দিনই আপনার কাছে কর্মদক্ষতা প্রমাণ করার একটা সুযোগ। তাই গতে বাঁধা একঘেঁয়ে নিয়ম ভেঙে অন্যভাবে ভাবুন। নতুন করে শুরু করুন।
আরও পড়ুন: সম্পর্কে হাজারো জটিলতা? এই দিকগুলো এড়িয়ে যাচ্ছেন না তো?
অনেকেই বলে থাকেন অফিস বা কাজের জায়গায় বন্ধু পাওয়া কঠিন। তবুও কাজ করতে গেলে আপনাকে মিশতেই হবে বাকিদের সঙ্গে। এক্ষেত্রে অতিরিক্ত বন্ধুত্ব পাতানোর দরকার নেই, তবে কাজের পরিবেশটা একটু ভালো তো করাই যায়, তাই না?
সময়টুকু যাতে একঘেয়ে না লাগে সেটুকু কথা বলুন আপনার সহকর্মীদের সঙ্গে। এতে কাজের পরিবেশ সহজ হবে।
ফাঁকা ওয়ার্কডেস্ক মানেই বোরিং, মন কেমন একটা ব্যাপার। একটু পার্সোনাল টাচ দিন ওয়ার্কস্টেশনে। বাড়ি থেকে নিয়ে আসতেই পারেন মেমেন্টো। দেখবেন, মনটা খুশি খুশি লাগবে।
নিজের মধ্যেকার ক্রিয়াশীলতা আর কর্মক্ষমতা বাড়াতে সবুজের জুড়ি নেই। একটি সমীক্ষায় জানা গেছে, আশেপাশে যদি প্ল্যান্টস থাকে তাহলে মুড ভাল হয়ে যায়। ফলে কিছু প্ল্যান্টের ব্যবস্থা করে ফেলুন। দেখবেন আপনার কাজের পরিমাণ বেড়েছে, উন্নত হয়েছে কাজের মানও।
একটানা অনেকক্ষণ কাজের পর খুব স্বাভাবিকভাবেই একঘেয়ে লাগতে পারে। সে ক্ষেত্রে কাজের মাঝে ছোট বিরতি নিন। একটু ঘুরে আসুন, চাইলে অল্পক্ষণ গান শুনে নিন, দু-একজনের সঙ্গে কথা বলুন। তারপর আবার কাজে লেগে পড়ুন।
আরও পড়ুন: মা হওয়ার পর হতাশায় ভোগেন প্রায় ৮০ শতাংশ মহিলা, জেনে নিন কীভাবে রেহাই পাবেন!