Advertisment

সানস্ক্রিন ব্যবহারের সময় কী কী বিষয় খেয়াল রাখতে হবে?

বিশেষ করে অ্যালার্জি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল থাকে৷ সানস্ক্রিন নিয়মিত ব্যবহার করলে এই সমস্যা হওয়ার থেকে নিজেকে রক্ষা করা যায়৷ আসলে সানস্ক্রিনে থাকা এসপিএফ আমাদের ত্বককে সূর্যের অতি বেগুনী রশ্মি থেকে রক্ষা করে৷

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

সূর্যের অতি বেগুনী রশ্মি যে আমাদের ত্বকের ক্ষতি করে, তা তো সবারই জানা৷ তাই ত্বকের যত্ন নিতে আমরা কমবেশি প্রত্যেকেই সানস্ক্রিন ব্যবহার করে থাকি৷ কিন্তু সানস্ক্রিনের সঠিক ব্যবহার না করলে ত্বকের আরও ক্ষতি হতে পারে৷ ইউ ভি-এ, ইউ ভি-বি, ইউ ভি- সি এই তিন ধরণের ক্ষতিগ্রস্ত রশ্মি সূর্যের আলোতে থাকে৷ যা আমাদের ত্বকে নানা রকম সমস্যার তৈরি করে৷ সানস্ক্রিন এই ক্ষতিগ্রস্ত রশ্মি থেকে ত্বককে প্রটেক্ট করে৷ চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা যেতে পারে।

Advertisment

কেন সানস্ক্রিন ব্যবহার করবেন:

ইউ ভি-এ, ইউ ভি-বি, ইউ ভি- সি এই তিন ধরণের ক্ষতিগ্রস্ত রশ্মি সূর্যের আলোতে থাকে৷ এর থেকে ত্বকে নানা সমস্যা দেখা দেয় যেমন- ত্বকে কালো ছোপ পরে যাওয়া, অল্প বয়সে মুখে বলিরেখা দেখা দেওয়া, এমনকি এই রশ্মির প্রভাবে ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে৷ ত্বক পাতলা হয়ে যেতে থাকে, ত্বকের মসৃণতা কমে যায়, টানটান ভাব কমে যায়, আরও অনেক সমস্যা দেখা যায়৷ বিশেষ করে অ্যালার্জি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল থাকে৷ সানস্ক্রিন নিয়মিত ব্যবহার করলে এই সমস্যা হওয়ার থেকে নিজেকে রক্ষা করা যায়৷ আসলে সানস্ক্রিনে থাকা এসপিএফ আমাদের ত্বককে সূর্যের অতি বেগুনী রশ্মি থেকে রক্ষা করে৷

আরও পড়ুন, দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম বুঝুন

এসপিএফ:

এটি হল সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টর৷ সানস্ক্রিনে থাকে এসপিএফ৷ যার জন্য সূর্যের আলোতে থাকলেও ত্বক সুরক্ষিত থাকে৷ এসপিএফ ১৫,৩০, এইগুলো ত্বকের জন্য ভালো৷ এসপিএফ ১৫ মেখে রোদে ১৫০ মিনিট থাকতে পারা যায়৷ কোন সমস্যা হয় না৷ এসপিএফ ৩০ মেখে আরও বেশি সময় থাকা যায়৷ তবে সবসময় খেয়াল রাখতে হবে যে ভালো কোম্পানির সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত৷

সানব্লক ও সানস্ক্রিন:

অনেকের একটা ভুল ধারণা রয়েছে যে সানব্লক ও সানস্ক্রিন একই জিনিস৷ কিন্তু একটু পার্থক্য আছে৷ সানব্লক ও সানস্ক্রিন একই কাজে ব্যবহৃত হয় কিন্তু কাজ করার ধরণ আলাদা৷ সানস্ক্রিন ত্বকের উপর প্রলেপ তৈরি করে, এই কারণে অতি বেগুনী রশ্মি ত্বকের ভিতরে যেতে পারে না৷ সানব্লক সূর্যরশ্মি প্রতিফলিত করে, ফলে রশ্মি ত্বক পর্যন্ত যেতে পারে না৷ এতে থাকে- পেডিমেট, সিনামেট, স্যালিসাইলেটস, অক্সিবেঞ্জন, জিঙ্ক অক্সাইড, টাইটেনিয়াম অক্সাইড ও প্যারাঅ্যামিনো বেঞ্জয়িক অ্যাসিড৷ সানস্ক্রিনে যা উপাদান থাকে তা সানব্লকে থাকে না৷ সানব্লক অপেক্ষা সানস্ক্রিন ব্যবহার করা ত্বকের জন্য খুবই ভালো৷

আরও পড়ুন, টানা সাতদিন ডাবের জল পান করলে কী হবে জানেন?

সানস্ক্রিনের ব্যবহার:
ত্বকের ধরণ অনুযায়ী সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত৷ শুষ্ক, তৈলাক্ত, সেনসিটিভ এই তিন ধরণের ত্বক ভেদ হয়ে থাকে৷ ত্বকের ধরণ অনুযায়ী সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে ত্বক অনেক ভালো থাকে৷ ত্বক যদি তৈলাক্ত হয় তাহলে সানব্লক বা সানস্ক্রিন পাউডার ব্যবহার করা ত্বকের জন্য ভালো৷ শুষ্ক ত্বকের জন্য সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহার করা বেশি লাভদায়ক৷ ত্বকের যে অংশে লোম রয়েছে তাতে জেল ব্যবহার করতে পারেন৷ যাদের খুবই সেনসিটিভ ত্বক তারা বাচ্চাদের জন্য ব্যবহৃত সানব্লক যা ১৫ মাত্রার তা ব্যবহার করতে পারেন৷ ঠোঁটের জন্য সানস্ক্রিন যুক্ত লিপবাম ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো৷

সানস্ক্রিন যারা নিয়মিত ব্যবহার করেন, তাদের একটি বিষয় খেয়াল রাখা খুবই জরুরি৷ সারাদিনের পর যখন বাড়ি ফিরবেন অবশ্যই আগে ভালো করে সানস্ক্রিন ত্বক থেকে তুলে দেবেন৷ ফেসওয়াস দিয়ে ঠাণ্ডা জলে ভালো করে মুখ ধুয়ে নেওয়া উচিত৷ তারপর টোনার দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করে ভালো কোন ময়েসচারাইজার লাগানো উচিত৷

Advertisment