দেশজুড়ে চতুর্থ দফার লকডাউন চলছে। তাও ক্রমশ বেড়ে চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এই অবস্থায় আপনার মধ্যে কোরোনার উপসর্গ দেখা দিলে আপনাকে যেতে হবে আইসোলেশনে। আর আপনার পরিবারের লোককে থাকতে হতে পারে কোয়ারেন্টিন-এ। যদি আপনাকে বা আপনার পরিবারকে গৃহবন্দি অবস্থায় থাকতে হয়, তা হলে তার প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে আগে থেকেই। এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দিষ্ট সতর্কতামূলক নিয়ম রয়েছে। কিন্তু বাড়িতে স্বেচ্ছাবন্দি থাকতে হলে আগে থেকে খাবারদাবার, অন্যান্য অবশ্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র মজুত করে রাখা দরকার। তার মানে অবশ্য এই নয় যে আতঙ্কের বশে সব জিনিসই প্রয়োজনের চেয়ে বেশি একগাদা করে কিনে জমিয়ে রাখবেন, মোটামুটি দু’ সপ্তাহ ভালোভাবে চলে যাবে, সেই পরিমাণ জিনিসপত্র, খাবারদাবার কিনে রাখা ভালো।
শুকনো খাবার
চাল, ডাল, আটা, ময়দা, ঘি, মাখন, তেলের মতো যে সব খাদ্যবস্তু বেশিদিন থাকলেও নষ্ট হয় না, সে সব কিনে রাখুন। ডিম কিনে রাখুন বেশি করে। চিঁড়ে-মুড়ি-চানাচুর-ডালমুট-চিপসের মতো টুকটাক খাবার রাখুন সংগ্রহে। বিস্কুট কিনে রাখুন। ফ্রিজে চকোলেট, শুকনো কেক রাখতে পারেন। চা আর কফি মজুত রাখুন।
আরও পড়ুন, দিনভর ঘরবন্দি! সচল থাকতে কী করণীয়?
ক্যানের খাবার
কৌটোবন্দি খাবার যদি পুষ্টিকর হয়, খেতে কোনও বাধা নেই। তবে কেনার আগে ম্যানুফ্যাকচারিং, এবং এক্সপায়ারি ডেট অবশ্যই দেখে নেবেন। ক্যানে ভরা সবজি বা ফল অনেকদিন পর্যন্ত ভালো থাকে।
সবজি
শাকসবজি খুব বেশি কিনে রাখবেন না, গরম বাড়লে ফ্রিজে থাকা শাকসবজিও নষ্ট হতে শুরু করবে। তার বদলে কিনে রাখুন আলু, পেঁয়াজ, আদা, রসুনের মতো সাধারণ সবজি। শুধু পর্যাপ্ত আলু-পেঁয়াজ ঘরে থাকলেই চোদ্দ-পনেরো দিনের কোয়ারান্টাইন কাটিয়ে দেওয়া কোনও ব্যাপার নয়!
শুকনো ফল
কাজু-কিশমিশ-বাদামজাতীয় খাবার স্টকে রাখলে অবসর সময় দিব্যি কেটে যাবে। খেজুর, শুকনো বেরিজাতীয় ফলে প্রচুর ভিটামিন রয়েছে। এ সব খাবার বহুদিন ভালো থাকে। সানফ্লাওয়ার সিড, চিয়া সিড, পাম্পকিন সিড কৌটোয় ভরে রাখুন। বাদাম, সিড আর কিশমিশ মিশিয়ে নিলেই সুস্বাদু আর পুষ্টিকর স্ন্যাকস পেয়ে যাবেন!
আরও পড়ুন, বাড়িতেই আছেন, তবু মেডিটেশনে মন বসছে না?
সাবান আর ডিসইনফেকট্যান্ট
করোনা থেকে বাঁচার প্রথম ও প্রধান ধাপ হল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা আর সেই সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। সাবান, হ্যান্ডওয়াশ, স্যানিটাইজ়ার, ডিটারজেন্ট পাউডার মজুত রাখুন। তবে অকারণে একগাদা স্যানিটাইজ়ার কিনে রাখবেন না, যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই কিনুন। অন্যদেরও প্রয়োজনের কথা মাথায় রাখবেন।
শিশুদের সামগ্রী
বাড়িতে শিশু রয়েছে? বেবি ফুড, ডায়াপার, বাচ্চাদের অন্যান্য দরকারি জিনিস অবশ্যই সংগ্রহে রাখুন।
জরুরি ওষুধ
খুব দরকারি ওষুধ, যেমন প্যারাসিটামল, পেট খারাপের অষুধ ছাড়াও রোজকার প্রয়োজনীয় ওষুধ, তুলো, অ্যান্টিসেপটিক হাতের কাছে রাখবেন।