Chhath Puja 2018 Date: বাঙালির উৎসব মোটামুটি শেষ, তবে অবাঙালি সম্প্রদায়ের একাংশের বড় উৎসব এখন প্রায় দোরগোড়ায়। ১১ নভেম্বর রবিবার থেকে শুরু হয়ে গেল ছট পুজো। আগামী ১৪ নভেম্বর অবধি চারটি তিথিতে চলবে এই পুজোর বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠান। সাধারণত বছরে দু'বার পালিত হয় এই পুজো— প্রথমবার চৈত্র মাসে (একে বলে চৈতী ছট) এবং দ্বিতীয়বার কার্তিক মাসে (এর নাম কার্তিকী ছট)।
ছটের আচার অনুষ্ঠান
চারদিনের এই ব্রতের প্রথম দিনে বাড়ি-ঘর পরিষ্কার করে স্নান সেরে শুদ্ধাচারে নিরামিষ খাওয়ার রেওয়াজ আছে। একে "নহায়-খায়" বলা হয়, পরদিন থেকে শুরু হয় উপোস। ব্রতীরা দিনভর নির্জলা উপবাস করে সন্ধ্যার পর পুজো শেষ করে ক্ষীরের খাবার খান, একে "খরনা" বলে। তৃতীয় দিনে সূর্যাস্তের সময় কোনও নদী বা জলাশয়ের ঘাটে গিয়ে অন্যান্য ব্রতীদের সঙ্গে অস্তগামী সূর্যকে দুধ অর্পণ করেন ব্রতীরা, এই আচারকে "সন্ধ্যা অর্ঘ্য" বলে। ব্রতের শেষদিন ঘাটে গিয়ে উদীয়মান সূর্যকে ফের দুধ দান করে উপোস ভাঙা হয়। এই আচারের নাম "ঊষা অর্ঘ্য"। সব মিলিয়ে ছট উপলক্ষে প্রায় ৩৬ ঘণ্টা নির্জলা উপোস করেন ব্রতীরা। পুজোর প্রসাদ হিসাবে থাকে বাঁশ দিয়ে তৈরি পাত্রে গুড়, মিষ্টি, ক্ষীর, ঠেকুয়া, ভাতের নাড়ু, আখ, কলা, মিষ্টি লেবু।
দেখে নিন কোন দিন কোন তিথি:
১১ নভেম্বর - নহায়-খায়
১২ নভেম্বর- খরনা
১৩ নভেম্বর- সন্ধ্যা অর্ঘ্য
১৪ নভেম্বর- ঊষা অর্ঘ্য
কী এই ছট পুজো?
ছট পুজো হল আদতে সূর্যদেব এবং তাঁর পত্নী ঊষাদেবীর পুজো। এই পুজোর প্রচলন পূর্ব ভারতের বিহার-ঝাড়খণ্ডে। এছাড়া, মহাভারতের চরিত্রের সঙ্গেও রয়েছে ছটপুজোর যোগসূত্র। বিহার, ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় ধুমধাম করে পালিত হয় এই উৎসব। এর পাশাপাশি, উত্তরপ্রদেশের একটি বড় অংশেও এই পুজোর প্রচলন রয়েছে। ভারতের বাইরে নেপালের কিছু অংশেও এই উৎসব পালন করতে দেখা যায়। মহাভারতের আখ্যানের সঙ্গে যোগসূত্র স্থাপন করে অনেকে বলেন, অঙ্গদেশের রাজা হওয়ার পরে সেই অঞ্চলে ধুমধাম করে সূর্যদেবের পুজো ও উৎসবের প্রচলন করেন কর্ণ এবং সেই উৎসবই কয়েক হাজার বছর পেরিয়ে ছটপুজো হিসাবে পালিত হয়ে চলেছে।