মিউজিক ভিডিওতে একসঙ্গে বাজপেয়ী, জগজিৎ সিং, ও কিং খান
২০০২ সালে লিখেছিলেন 'কেয়া খোয়া কেয়া পায়া', সেই লেখাকে গজলে পরিণত করেছিলেন জগজিৎ সিং। সেই অ্যালবামের নাম 'সমবেদনা'। যার ভিত্তি অটল বিহারী বাজপেয়ীর লেখা ওই নামেরই বই।
যে মানুষটা হার না মেনে থেকে যাবেন, তাঁর নাম অটল বিহারী বাজপেয়ী। ভারতরত্ন তথা, দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী। একাধিক পরিচয় তাঁর। এই এত পরিচয়ের জন্য ইতিহাসের পাতায় বাজপেয়ীর নাম থেকে যাবে নিশ্চয়ই। কিন্তু সাধারণ মানুষের মনে তিনি থেকে যাবেন অন্য পরিচয়ে।
Advertisment
২০০২ সালে লিখেছিলেন 'কেয়া খোয়া কেয়া পায়া', সেই লেখাকে গজলে পরিণত করেছিলেন জগজিৎ সিং। সেই অ্যালবামের নাম 'সমবেদনা'। যার ভিত্তি অটল বিহারী বাজপেয়ীর লেখা ওই নামেরই বই। ১৯৯৯ সালে প্রকাশিত হয় এই বই। সেই মিউজিক ভিডিওটিতে অভিনয় করেছিলেন শাহরুখ খান। যার সূচনা পাঠ করেছিলেন অমিতাভ বচ্চন। মিউজিক ভিডিওটির পরিচালনায় ছিলেন যশ চোপড়া।
বলাই বাহুল্য, ঐতিহ্যশালী প্রতিভাবানদের একটি সুতোয় গাঁথা হয়েছিল ভিডিওটির মাধ্যমে। ভিডিওটিতে জগজিৎ সিংয়ের কন্ঠ অনবদ্য মেজাজ তৈরি করে। সেই মেজাজকে পূর্ণতা দেন শাহরুখ খান, যিনি মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন ভিডিওটিতে।
গোয়ালিয়রের মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মানো মানুষটি মাটির টানকে উপেক্ষা করেননি কখনও। মাতৃভাষাতেই আশ্রয় খুঁজেছেন বারবার। সে ভাষাকে হাতিয়ারও করেছেন প্রয়োজনে। একদা রাষ্ট্রপুঞ্জ এবং অধুনা জাতি সঙ্ঘের সাধারণ সভার মঞ্চে হিন্দিকে নিয়ে গিয়েছিলেন প্রথম এই মানুষটাই। রাজনীতি, বিদেশনীতির কচকচানি নিয়েই কারবার, অথচ এমন প্রাঞ্জল ভাষায় কবিতা লিখতে পারতেন বাজপেয়ী! ওঁর রাজনৈতিক বক্তৃতা শুনতে ভিড় করতেন বিরোধী দলের নেতারাও। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেলেও মাথা নোয়ানো যাবে না, তিনিই তো শিখিয়েছিলেন তাঁর কবিতায়।