Advertisment

দিনের এই এই সময়ে জল খান... ব্যাস, কেল্লা ফতে!

দিন শুরু হোক সকালে এক গ্লাস জল খেয়ে। এতে সারা শরীরে জমে থাকা টক্সিক দূর হয়ে যায়। ফলে দিনভর বেশ চনমনে লাগে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
water

স্কুলে ভর্তি হওয়া ইস্তক 'জলই জীবন' রচনা লিখেছি আমরা। প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দিনে তিন থেকে ৪ লিটার জল খাওয়া প্রয়োজন, সেও জানা। তাও যখন ছোট খাটো সমস্যায় চিকিৎসকের কাছে যান, নতুন করে জল খাওয়া বাড়াতে বলে দেন ডাক্তারবাবু। তার মানে আপনি ঠিক সময়ে জল খাচ্ছেন না। যখন খাওয়া উচিত, তখন খাচ্ছেন না।

Advertisment

জল খাওয়ার নিয়মগুলি জেনে নিন

সকালে ঘুম থেকে উঠে

দিন শুরু হোক সকালে এক গ্লাস জল খেয়ে। এতে সারা শরীরে জমে থাকা টক্সিক দূর হয়ে যায়। ফলে দিনভর বেশ চনমনে লাগে। ঠাণ্ডা জল খাবেন না এই সময়। সামান্য উষ্ণ অথবা ঘরের তাপমাত্রার জল পান করুন।

মূল খাবার খাওয়ার আগে

দিনের অথবা রাতের মূল খাবার খাওয়ার আগে এক গ্লাস জল খান। এতে পেট ভর্তি থাকবে। তাই খুব বেশি খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন আপনি। তাছাড়া খাবার খাওয়ার আধ ঘণ্টা আগে এক গ্লাস জল খেলে স্বাদ কোরক সতেজ হয় এবং খাবারের স্বাদ বেশি পাবেন আপনি।

আরও পড়ুন, বর্ষাকালে কিডনির সংক্রমণ থেকে বাঁচবেন কীভাবে?

যখন খিদে পাবে

অনেক সময় কাজের ফাঁকে বা নিতান্ত অসময়ে খিদে পেয়ে যায় আপনার। আসলে খিদে নয়, তেষ্টা পায় আপনার। শরীর শুকনো অর্থাৎ ডিহাইড্রেটেড হয়ে গিয়েছে আপনার। তাই কিছু না খেলেও চলবে, শুধু এক গ্লাস জল খেতে হবে এমন সময়।

ওয়র্ক আউটের আগে পরে

ওয়র্ক আউটেও আমাদের শরীর ডিহাইড্রেটেড হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই ভারী শরীরচর্চার আগে ২-৩ গ্লাস জল পান করুন। শরীরে তরলের ভারসাম্য বজায় থাকবে। কিন্তু একবারে বেশি জল খাবেন না, পেটে ব্যথা হতে পারে।

অসুস্থ লাগলে

জ্বর, সর্দি-কাশি হলে বা ছোট বড় অসুস্থতায় পর্যাপ্ত জল খান। দেহের টক্সিক দূর করতে সাহায্য করবে। খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবেন আপনি।

ক্লান্ত লাগলে

শরীর যদি ভীষণ ক্লান্ত লাগে, আর বিশ্রাম নেওয়ার সময় না থাকে আপনার কাছে, তবে জল খান। ক্লান্তির একটা বড় কারণ শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে যাওয়া। বিছানায় শোয়ার ফুরসত পেলেন না যখন, এক গ্লাস জলে কাজ চালান। মস্তিষ্ক সচল রাখতে সাহায্য করে।

Advertisment