Advertisment

আইসোলেশন ছাড়া কীভাবে নিজেকে সুস্থ রাখবেন? কী নিয়ম মেনে চলবেন?

পরিবেশের সঙ্গে মানিয়েই সুস্থ থাকুন

author-image
IE Bangla Lifestyle Desk
New Update
NULL

প্রতীকী চিত্র

করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বর্তমানে অনেক কমেছে। সেই সঙ্গে হ্রাস পেয়েছে মানুষের ভয়ের পাহাড়। বিশ্বের বহু দেশে করোনা ভাইরাসকে বিদায় জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। তবে বছর দুয়েক ধরেই মানুষের দিন কেটেছে নানা চিন্তা ভাবনার মধ্যে দিয়ে। হাজার নিয়ম, শরীর ঠিক রাখার চেষ্টা, এবং হাইজিন মানতে গিয়েই মানুষের জীবন শেষ। এদেশেও জানানো হয়েছিল বর্তমানে কোভিড আক্রান্ত হলেও বেশিদিন ঘরে বন্দী থাকতে হবে না। তবে ঘটনার ইঙ্গিত না বুঝেই, অনেকে সাধারণ নিয়ম গুলো ভুলে যাচ্ছেন ক্রমশই। 

Advertisment

চিকিৎসকরা বলছেন অতীতের দিকে তাকালে বোঝা যায়, মহামারী থেকে অনেকেই এখনও বেরিয়ে আসতে পারেনি। আচরণগত কোনও কিছুতেই পরিবর্তন ঘটেনি। অনেকেই আন্দাজ করতে পারছেন না আসলেই কী করা উচিৎ এবং কোনটি নয়। যুক্তরাজ্যের  ভারসাম্য দেখলে বোঝা যায়, যে মহামারীর প্রভাব বেশ সাংঘাতিক মাত্রায় পড়েছে। গবেষণা বলছে, মহামারী তাদের কাছে ক্লান্তিকর, নতুন অনেক পদক্ষেপ এর কারণে হ্রাস পেয়েছে। অন্যদের সঙ্গে দেখা করার বিধিনিষেধের মত, আচরণে অনেক পরিবর্তন এসেছে। 

তবে বিচ্ছিন্নতা আসলেই একটি উচ্চ আচরণ। এর জন্য অনেক ত্যাগের প্রয়োজন। অনেকেই এর মধ্যে দিয়ে গেছেন, বিশেষ করে পরিবার এবং সহকর্মী উভয়ের মধ্যেই এই বিচ্ছিন্ন ভাব দেখা গেছে, তুলনামূলক ভাবে বন্ধুদের মধ্যে সেই বিষয়টি কম। এর সঙ্গেই আর্থিক ব্যবহারিক এবং মানসিক স্বাস্থ্য একসঙ্গে ভেঙে পড়েছে। কিন্তু এই বিচ্ছিন্ন ভাবের কারণ একটাই যে, সংক্রমণ কমানোর উপায় এবং এটি কার্যকরী প্রমাণিত হয়েছে। গবেষকরা বলছেন এটি আশা করাও ঠিক নয় যে, মানুষ প্রাক মহামারীর মত অবস্থায় পৌঁছাবেন। অনেকে বিশ্বাসই করতে পারছেন না যে সব লোকজনই অসুস্থতা ছড়াবেন না। 

তবে আচরণগত কীরকম পরিবর্তন এসেছে? 

আলিঙ্গন করা কিংবা হ্যান্ডশেক করা এগুলি এখন মানুষ ভয়ে করতে চাইছেন না। কিন্তু এতকিছু মানলেও কমেছে মাস্ক পরিধানের মাত্রা। এটি একধরনের অভ্যাস হয়ে গেলেও ভাল মনে কেউই পড়তে চাইছেন না। তাই এই আচরণের হ্রাস পাওয়ার ঘটনা সত্যিই দেখতে পাওয়া যায়। 

কীভাবে সুস্থ থাকবেন এর মাঝে? 

মানুষের জন্যে সুবিধা সর্বাধিক করতে হবে। যখন সেল্ফ আইসলেশনের প্রয়োজন নেই তখন কোভিড আক্রান্ত হলে তাদের পরীক্ষা করা, সামাজিক বিচ্ছিন্নতা নিজে থেকেই বজায় রাখা। যদিও বা বেশি কঠোর ভাবে এই কাজ করতে হবে না, তারপরেও খরচের দিকে তাকাতে হবে। 

মানুষের আচরণের দিকে যদি পরিবর্তন আনতে হয় তবে বেশি কিছু দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন।লোকজন যা করছে তার চালিয়ে যাওয়ার জন্য, বেশ অনুপ্রেরণার প্রয়োজন। স্বেচ্ছায় যাতে ভিন্নতা ভেঙে তারা এগিয়ে যেতে পারে সেইদিকে নজর দিতে হবে। অর্থনৈতিক তথা সামাজিক এবং ব্যবহারিক দিকে খেয়াল রাখতে হবে, মানসিক শান্তি রাখতে হবে। 

কর্মের ভিত্তিতে বেশ কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। যদি কেউ এর পরেও আক্রান্ত হন তবে কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করতে উৎসাহিত করতে হবে। অসুস্থ অবস্থায় বাড়ি থেকেও যে কাজ করা যায় সেই বার্তা দিতে হবে। আর্থিক সহায়তা যাতে হয় সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। সঙ্গেই ভালদিকে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। 

একেবারেই নিজেদেরকে প্রকৃতির মাঝে বোঝা ভাববার কারণ নেই। সতর্ক থাকতে হবে। দুই বছরের অভ্যাস জলে ফেলে দিলে একেবারেই চলবে না। নিজেদেরকে সুরক্ষিত রাখতে হবে। একে অপরকে সুরক্ষিত রাখতে হবে।

Home Isolation behave safety health
Advertisment