OMICRON AND CHILD VACCINE: শিশুদের ভ্যাকসিন নিয়ে চলছে নানান সমস্যা। কেউ বলছেন প্রয়োজন আছে তো কেউ বলছেন নেই। অনেকের মতেই শিশুদের মধ্যে আগে থেকেই ইমিউনিটি দারুণ মাত্রায় বহাল, সুতরাং এত তাড়াহুড়ো না করলেই চলবে তবে বেশিরভাগই এর পক্ষে। ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী শিশুদের টিকাকরণের দিন নির্দেশ করা হয়েছে।
জানুয়ারি মাসের ৩ তারিখ থেকেই বাচ্চাদের টিকাকরণ প্রক্রিয়া সর্বস্তরে শুরু হয়ে যাবে। তবে বয়স ধার্য করা হয়েছে ১৫-১৮ বছর। সেই ক্ষেত্রেই বক্তব্য রেখেছেন বেশ কিছু চিকিৎসক! তাদের মত অনুযায়ী বছর পাঁচেকের শিশুদের সবথেকে আগে টিকা দেওয়া উচিত কিংবা ৫ বছরের ধারে কাছে যেই সব বাচ্চারা আছেন তাদের ব্যবস্থা আগে করা উচিত। শুধু এরাই নয়, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী বুস্টার ডোজের ব্যবস্থাও করা হবে স্বাস্থ্যকর্মী, ফ্রন্ট লাইন কর্মীদের জন্য এবং যারা সিনিয়র সিটিজেন তাদের জন্য। সেই প্রক্রিয়া শুরু হবে জানুয়ারী ১০ থেকে।
তবে শিশু বিশেষজ্ঞদের ধারণা এই প্রসঙ্গে একটু অন্যরকম। তারা বলছেন, শুধু ১৫ থেকে ১৮ বছর নয় ৫ বছরের ধারে কাছের শিশুদেরও অবশ্যই ভ্যাকসিন প্রক্রিয়া শুরু করা উচিত। বিশেষ করে ওরা কিছুদিন পর থেকেই স্কুল যাওয়া শুরু করবে, আর এমন সময়েই ওদের শরীরকে ঠিক রাখা আবশ্যক। সুতরাং প্রতিটি শিশু বিশেষজ্ঞের কাছে এই নির্দেশ থাকা উচিত যাতে তারা নিজেদের ক্লিনিকে বাচ্চাদের টিকাকরণ করতে পারেন।
এমনও জানা যাচ্ছে বাচ্চাদের মধ্যেও ইমিউনিটি হেরফেরের নজর মেলে। সকলের মধ্যেও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সমান নয়। তাই সেইবিচার করেও তাদের ভ্যাকসিন প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। বিশ্বের বেশ কিছু জায়গায় কিন্তু ভ্যাকসিন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এবং সেখানে একজন বাচ্চাকে টিকাকরণের আগে রীতিমতো হেলথ চেকআপ করে নেওয়া হয়েছে। সেই দিকেও নজর দেওয়া দরকার। বাচ্চাদের শরীরে অনেক কিছুই সহ্য নাও হতে পারে। অনেক বাচ্চা ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেও অ্যালার্জির সমস্যায় ভোগেন।
বয়স ভেদেও হতে পারে সমস্যার ভিন্নতা। সুতরাং টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু করার আগেও বেশ গবেষণা প্রয়োজন। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সবকিছু ঠিক করা প্রয়োজন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন