টানা দেড় মাসের লকডাউন কখনও দেখেনি এই দেশ। করোনা সংক্রমণ আটাকানোর জন্য নজিরবিহীন এই সিদ্ধান্তই নিতে হয়েছে সরকরাকে। জরুরি পরিষেবা ছাড়াও মুদিখানার দোকান, ওষুধের দোকান ছাড় পেয়েছে যদিও, তবু মানুষ অযথা প্যানিক করে ভিড় জমাচ্ছেন দোকানে দোকানে। আশঙ্কা একটাই, যদি এরপর দোকান বন্ধ হয়ে যায়, খাব কী? কিন্তু মাথা ঠাণ্ডা রেখে পরিকল্পনা করলে কিন্তু সব সম্ভব।
আসুন জেনে নেওয়া যাক কী ভাবে মজুত রাখতে হবে সব খাবার দাবার।
চাল, ডাল মজুত রাখুন-
ভারতীয়দের মূল কাবার কিন্তু চাল-ডাল। সঙ্গে রাজমা, ছোলা, মজুত রাখুন। নানা রকমের ডাল রাখতে পারলে ভালো। এই সময়ে বাজারে খুব বেশি সবজি পাবেন না, তাই ডাল থেকে পুষ্টি নেওয়া যেতে পারে।
কী কী মশলা রাখবেন?
বাঙালির বাড়িতে মশলা ছাড়া রান্না হয় নাকি? হলুদ, ধনে, জিরে, গুঁড়ো লঙ্কা, হিং, পাঁচফোড়ন কিনে রাখুন।
কী কী সবজি কিনে রাখতে পারেন?
২১ দিনের জন্য একবারে বাজার করা সম্ভব নয়। তাই এমন সবজি কিনে রাখুন, যা অনেকদিন ফ্রিজের বাইরেও সতেজ থাকবে। আলু, পেঁয়াজ, মিষ্টি আলু জাতীয় সবজি কিনে রাখুন।
আরও পড়ুন, করোনা নাকি ‘প্রকৃতির প্রতিশোধ’! পরিবেশকে কতোটা ভালোবাসছে আপনার সন্তান?
বেঁটে রেখে দেওয়া যায় কোনগুলো?
রান্নায় টমেটো তো লাগেই, এক্ষেত্রে একেবারে টমেটো অনেকটা বেঁটে ফ্রিজে রেখে দিন। একটু একটু করে রান্নায় ব্যবহার করে রাখতে পারেন। কলাও চটকে ফ্রিজে রাখতে পারেন। পরে দই, আপেল, চিনি দিয়ে খেতে কিন্তু দারুণ লাগবে।
জাঙ্ক ফুড না খেয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার খানএটা কিন্তু দারুণ সুযোগ, অফিসে সহকর্মীদের দেখে হয়তো লোভই সামলাতে পারতেন না আপনি। এইবার আর কোনও উপায় নেই জাঙ্ক খাওয়ার। খিদে পেলেই আরসালানের বিরিয়ানি কিমবা নিজামের কাবাব টেবিলে চলে আসবে না। স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া ছাড়া উপায়ও নেই। তবে বিকেলের স্ন্যাক্স হিসেবেও কেনা খাবার জমিয়ে রেখে খাবেন না, রান্না করা খাবার খান।
মাছ, মাংসের বদলে ডিম, চিজ জমিয়ে রাখুন-
এই সময়ে দোকানে, বিশেষ করে শপিং মল অথবা সুপার মার্কেটে ফ্রোজেন মাছ মাংস পাওয়া যাবে। খবরদার সে সব খেয়ে পেট খারাপ করবেন না। বরং ডিমে প্রচুর প্রোটিন থাকে, ডিম খান, আর খান চিজ। এটিও অনেকদিন পর্যন্ত ঘরের তাপমাত্রাতেই ঠিক থাকবে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন