ক্রমশই বছরের শেষের পর্যায় আর তার মধ্যেই নতুন করে ভাইরাসের প্রকোপ, ওমিক্রন ক্রমশই ছড়িয়ে পড়ছে নিজস্ব গতিতে। তার সঙ্গেও মানুষ নিজের সমস্যায় জেরবার, এই সময় জ্বর সর্দি কাশি খুবই স্বাভাবিক বিষয় কিন্তু আতঙ্ক যেন পিছু ছাড়ছে না কিছুতেই! অনেকেই ভাবছেন সামান্য সর্দি কাশিতে টেস্ট করানোর প্রয়োজন রয়েছে নাকি নয়?
তবে চিকিৎসাবিজ্ঞান বলছে বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে আরটিপিসিআর যেমন রয়েছে আপনার শরীর আদৌ sars cov-2 দ্বারা সংক্রমিত কিনা এটি দেখার জন্য, তেমনই দ্রুত অ্যান্টিজেন পরীক্ষার মাধ্যমে ভাইরাসের দ্রুত শনাক্তকরণ সম্ভব হবে। সুতরাং এর সম্পর্কে আগে বিস্তারিত জেনে নেওয়া জরুরী।
আরটিপিসিআর টেস্ট আসলে কী প্রমাণ করে?
এই পরীক্ষার মাধ্যমে কোভিডের জেনেটিক শনাক্তকরণ সম্ভব। আপনি যদি একেবারেই সংক্রমিত হন তবে এই পরীক্ষার মাধ্যমে আপনার DNA রূপান্তরিত জেনেটিক সিকোয়েন্স গুলি নিজেদেরকে প্রসারিত করেই ইঙ্গিত প্রদান করে। এই পরীক্ষাটি জেনেটিক উপাদানের ক্ষুদ্র স্তরগুলো কে শনাক্ত করতে পারে এবং এক্কেবারে প্রথম পর্যায়ের ভাইরাস সংক্রমণের ইঙ্গিত এর মাধ্যমেই মেলে।
অপরদিকে দ্রুত অ্যান্টিজেন পরীক্ষা আসলে কী?
এটি কোষের মধ্যে লুকিয়ে থাকা ভাইরাল প্রোটিন গুলোকে শনাক্ত করে। প্রোটিন গুলি অ্যান্টিবডি দ্বারা আবদ্ধ হওয়ার পরেই আদৌ ভাইরাস যুক্ত কিনা সেটি নির্দেশ করে।
এর বেশ কয়েকটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যেমন, এটি পিসিআর টেস্টের তুলনায় চটজলদি সম্পন্ন হয় অর্থাৎ ২০ থেকে ৩০ মিনিট। দ্বিতীয়, এটি বাড়িতে বসেও টেস্ট করা যায় এবং পরবর্তীতে পরীক্ষাগারে টেস্ট করা হয়। সেই রিপোর্ট জানিয়ে দেওয়া হয় ব্যক্তির ফোনে। তবে এটি পিসিআর এর সমকক্ষ নয়, এটির পরীক্ষার ক্ষেত্রে অনেক গাফিলতি আছে।
ওমিক্রনের শনাক্তকরণ কোনটি দিয়ে সম্ভব?
দুটি দ্বারাই সম্ভব। অন্তত এর মিউটেশন বেশি থাকলেও একে চিহ্নিত করা যায়। সাধারণত পিসিআর টেস্ট এই সম্পর্কে জানায় যে ভাইরাস রয়েছে তবে এর কোন রূপটি বিদ্যমান সেটি জানতে জিনোম সিকয়েন্সিং প্রয়োজন হয়। নির্দিষ্ট কিছু পিসিআর টেস্ট কিন্তু ওমিক্রন কিনা সেটিও বলতে পারে।
গবেষণা বলছে, দুটি টেস্টই নিজের মত করে গ্রহণযোগ্য! কারণ দুটিই সংক্রমণের সম্ভাবনা নির্দেশ করতে কাজে দেয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে যে অ্যান্টিজেন পরীক্ষার ফলাফল এবং আরটিপিসিআর এর ফলাফল মিলে গিয়েছে। সুতরাং দুটি সমানভাবে কার্যকরী।
কখন RTPCR টেস্টটি করানো উচিত?
যদি আপনার কোভিড লক্ষণ থাকে।
এমন কারওর সংস্পর্শে এসেছেন যিনি কোভিড আক্রান্ত।
দ্রুত ফলাফল এতে আশা করা উচিত নয় কারণ এতে নিশ্চিতকরণ প্রয়োজন। আগে থেকেই সম্ভব হলে কোয়ারেন্টিনে চলে যান।
Rapid Antigen কখন করানো উচিত?
এমন কোথাও যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন যেটি আগে থেকেই সংবেদনশীল।
নিজেকে বাঁচাতে এবং এই ভাইরাসের ভরা কোটালে অন্যদের বিশেষ করে বয়স্কদের বাঁচাতে হলে।
কোভিড উপসর্গ আছে তবে বাইরে বেরতে পারবেন না।
যদি কোনও এমন অনুষ্ঠানে গিয়ে থাকেন যেখানে প্রচুর লোক আছেন নিজেকে সুস্থ রাখতে আগেভাগেই ঘুরে এসে এই টেস্ট করতে পারেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন