বিগত দুই বছর ধরে প্রতিটা মানুষকে নিজেদের সেবায় যারা সুস্থ করে তুলেছেন বা চেষ্টা করেছেন তাদের সহযোগিতা ছাড়া কোনওভাবে কিছুই সম্ভব ছিল না। করোনা ভাইরাসের প্রথম পর্যায় থেকে চিকিৎসক মহল থেকে স্বাস্থ্যকর্মী সকলেই নিজেদের অক্লান্ত পরিশ্রম দিয়েই মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন। প্রথম দিন থেকেই তারা নিজেদের সুরক্ষার কথা চিন্তা করেই অনেক কিছুই করেছেন। এবারও তার ব্যতিক্রম নয় কিছুই।
কী গাইডলাইন প্রস্তুত করা হয়েছে?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মত অনুযায়ী স্বাস্থ্যকর্মীদের উদ্দেশ্যে তাদের সুরক্ষিত থাকার কারণেই বেশ কিছু নিয়ম বেঁধে দেওয়া হয়েছে যার মধ্যে ;
শ্বাসযন্ত্রকে সুরক্ষা প্রদানকারী FFP2 অথবা FFP3 কিংবা NIOSH থেকে অনুমোদিত N95 মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এবং তার সঙ্গে PPE তথা গ্লাভস এবং চোখ সুরক্ষিত রাখতে আই প্রটেকশন এগুলি আবশ্যিক। শুধু রিপোর্ট পজিটিভ নয় বরং যে ব্যক্তির মধ্যে একটু হলেও সংক্রমণের সন্দেহ রয়েছে তার ক্ষেত্রেও একজন স্বাস্থ্যকর্মীর সম্পূর্ণ নিজেকে সুরক্ষিত রাখা প্রয়োজন।
বিশেষ করে অ্যারাসেল জেনারেটিং ( AGP ) এর সময় নিজেদেরকে বেশ সুরক্ষিত রাখতেই হবে। কারণ এই সময় সবথেকে বেশি ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। এজিপি থেকেই সবথেকে ক্রনিক শ্বাসযন্ত্রের রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং তারসঙ্গে সংক্রমণ সৃষ্টিকারী প্যাথজেনের কাছে নিজেদের ধাঁচ প্রকাশ করতে পারে। তাই এই সময় সবথেকে বেশি সাবধানতা অবলম্বন করার চিন্তা করা হয়েছে।
এখানেই শেষ নয়, মাস্ক সঠিকভাবে পরা হয়েছে কিনা, এর ধরন এবং উচ্চমানের মাস্ক ছাড়া সিল চেক ( seal check ) এবং আদৌ এতে ছেঁড়া ফাটা আছে কিনা সেই বিষয়েও লক্ষ্য রাখতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকাগ্রহণ এবং বুষ্টারের ব্যবস্থা যাতে হয়ে যায় সেই বিষয়েই চিন্তা ভাবনা করা উচিত। ওমিক্রন সংক্রমণের প্রথম পর্যায়ে যাই হোক না কেন বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে একেবারেই ঝুঁকি নেওয়া চলবে না।
বিশেষ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফ থেকে এই গাইডলাইন পেশ করা হয়েছে যে, রোগীদের মধ্যে ১/৩/৫ দিন পর্যন্ত একটু হলেও তৎপরতার সঙ্গে নজর রাখতে হবে। নইলে সমস্যা আরও বাড়বে, তার কারণ হিসেবে বলা যায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই কদিনের মধ্যেই ভাইরাসটি অন্যত্র ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা দেখা দিচ্ছে তাই এই কদিন নিজেকেও রাখতে হবে সুস্থ। বিশেষ করে যারা এখনও টিকা গ্রহণ করেননি সেই সকল স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে থাকছে বিপুল সমস্যা। বারবার করে ইমিউনিটি বাড়ানোর কথা বলা হচ্ছে তারজন্য যতটা সম্ভব ভাল খাবার দাবারের দিকেও ইঙ্গিত দেওয়া হচ্ছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন