করোনা এবং লকডাউনের জন্য দীর্ঘ সময় বিশ্বজুড়ে চলছে ওয়ার্ক ফ্রম হোম-এর মাধ্যমে কাজ। কিন্তু এইভাবে ঘন্টার পর ঘন্টা কাজ করলে বড়সড়ো ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারেন আপনি এমনটাই জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
একটি আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করার ফলে স্বাস্থ্যের পক্ষে বিপজ্জনক বলে প্রমাণিত হচ্ছে। সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে, বিকল্প এই কর্মপদ্ধতিতে স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা যাচ্ছে। যার থেকে প্রাণঘাতী পর্যন্ত হতে পারে। অতিরিক্ত কাজ করলে হতে পারে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক-সহ নানারকম শারীরিক সমস্যা। যার ফলে হতে পারে মৃত্যুও।
২০১৬ থেকে যদি পরিসংখ্যান খতিতে দেখা যায় তাহলে সেই সংখ্যা প্রায় ৭ লক্ষ ৪৫ হাজার। মহামারির সময় বাড়ি থেকে যাঁরা কাজ করছেন তাঁদের চাপ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে তাঁদের জীবন। ওয়ার্ক-ফ্রম-হোমে বেড়েছে কাজের চাপ। চার দেওয়ালের নিরাপত্তার ঘেরাটোপে বসেও কাজ করায় বেড়েছে মানসিক সমস্যাও।
ঘণ্টার পর ঘণ্টা এক জায়গায় বসে কাজ করে যাওয়ার ফলে এক বছরে অন্তত কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ছে। WHO-র পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক মারিয়া নীরা বলেছিলেন, 'যদি কেউ সপ্তাহে ৫৫ ঘন্টা বা তার বেশি সময় যাঁরা কাজ করেন তবে তাঁর স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ'।
যারা সপ্তাহে ৩৫-৪০ ঘন্টা কাজ করেন তাদের তুলনায় যারা ৫৫ ঘন্টা বা তার বেশি পরিশ্রম করেন তাঁদের মধ্যে ৩৫ শতাংশ স্ট্রোকের শিকার হন। তাঁদের ১৭ শতাংশ জীবন ঝুঁকিতে রয়েছে। এদের মধ্যে এশিয়া মহাদেশের মানুষের সংখ্যাই সিংহভাগ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন