/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/27/belur-math-chhath-puja-1-2025-10-27-23-24-55.jpg)
Belur Math Chhath Puja: বেলুড় মঠে ছট পুজো।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/27/belur-math-chhath-puja-2-2025-10-27-23-26-12.jpg)
সূর্যদেব ও ‘ছটি মাইয়া’র পূজায় বেলুড় মঠের সংযোগ
ছটপুজো বা ছট মহাপর্ব ভারতের অন্যতম প্রাচীন সূর্যোপাসনার উৎসব। এই উৎসবের মূল উদ্দেশ্য হল সূর্যদেব ও তাঁর বোন দেবী ষষ্ঠী বা ছটি মাইয়ার আরাধনা। প্রাচীন হিন্দু শাস্ত্রে বলা হয়েছে, সূর্যই জীবনের উৎস, আর মা ষষ্ঠী প্রতিপালন ও সন্তানরক্ষাকারী শক্তি। তাই এই দুই দেবতার সম্মিলিত পূজায় জীবনের ধারাবাহিকতা, পরিবারে সমৃদ্ধি ও সন্তানের মঙ্গল কামনা মিশে যায়।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/27/belur-math-chhath-puja-2-2025-10-27-23-26-40.jpg)
পূজার মূলে
এই উৎসব মূলত বিহার, ঝাড়খণ্ড, পূর্ব উত্তরপ্রদেশ ও দক্ষিণ বাংলায় বিশেষভাবে পালিত হলেও আজ তা বিশ্বজুড়ে ভারতীয় প্রবাসীদের মধ্যেও ছড়িয়ে গিয়েছে। কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে সূর্যদেবকে অর্ঘ্য নিবেদনই এই পূজার মূল কেন্দ্রবিন্দু।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/27/belur-math-chhath-puja-5-2025-10-27-23-27-10.jpg)
ছটপুজোর ইতিহাস ও পুরাণকথা
ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ অনুযায়ী, ব্রহ্মার মানস পুত্র সূর্য এবং মানস কন্যা ষষ্ঠীদেবী। ষষ্ঠী হলেন সন্তানদের রক্ষাকারী দেবী, যিনি প্রসবের ষষ্ঠ দিনে শিশুর ভাগ্য লিখে দেন। অন্যমতে, ষষ্ঠী হলেন যুদ্ধদেবতা কার্তিকের পালক মাতা। তাই তিনি মাতৃত্ব, প্রতিপালন ও প্রজননের প্রতীক।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/27/belur-math-chhath-puja-6-2025-10-27-23-29-31.jpg)
সূর্যোপাসনার বৈজ্ঞানিক দিক
ছটপুজোয় সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময় অর্ঘ্য দেওয়া হয়। বৈজ্ঞানিক দিক থেকে দেখলে, এই সময়ে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি সবচেয়ে কম তীব্র থাকে, ফলে তা শরীরের জন্য উপকারী। নদীর জলে দাঁড়িয়ে সূর্যকে প্রণাম করা মানে প্রকৃতি ও শক্তির সংযোগের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/27/belur-math-chhath-puja-6-2025-10-27-23-32-22.jpg)
চার দিনের আচার-পদ্ধতি
নাহাই-খাই: প্রথম দিনে ভক্তরা স্নান করে নিরামিষ ভোজন করেন এবং নিজেকে পবিত্র করেন। ২) খরনা: দ্বিতীয় দিনে গুড় ও দুধের পায়েস অর্পণ করে উপবাস শুরু হয়। ৩) সন্ধ্যা অর্ঘ্য: তৃতীয় দিনে সূর্যাস্তের সময় নদীতে দাঁড়িয়ে সূর্যদেবকে অর্ঘ্য দেওয়া হয়। ৪) উষা অর্ঘ্য: শেষ দিনে উদীয়মান সূর্যকে অর্ঘ্য দিয়ে উৎসবের সমাপ্তি ঘটে। অনেক ভক্ত ৩৬ ঘণ্টা নির্জলা উপবাস করেন।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/27/belur-math-chhath-puja-7-2025-10-27-23-40-44.jpg)
বেলুড় মঠে ছটপুজো: আধ্যাত্মিক সংযোগ
বেলুড় মঠের এক অনন্য ঐতিহ্য রয়েছে। সেখানে সূর্যোপাসনা ও মাতৃশক্তি আরাধনা একত্রিত হয়ে ‘সর্বধর্ম সমন্বয়’-এর বার্তা দিল। সূর্যদেবের প্রতীক হিসেবে জীবন, আলো এবং ত্যাগের যে বার্তা ছটপুজোতে নিহিত, সেটাই বেলুড় মঠের দর্শনের সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/27/belur-math-chhath-puja-8-2025-10-27-23-43-00.jpg)
উৎসবের তাৎপর্য
ছটপুজো শুধুমাত্র ধর্মীয় আচার নয়, এটি প্রকৃতি, নারীশক্তি ও সূর্যালোকের প্রতি কৃতজ্ঞতার প্রতীক। সূর্যদেব ও ছটি মাইয়ার কৃপায় জীবনে সৌভাগ্য, সমৃদ্ধি ও শান্তি আসে— এমনটাই বিশ্বাস।
/indian-express-bangla/media/agency_attachments/2024-07-23t122310686z-short.webp)
Follow Us