বেশিরভাগ মানুষকে বলতে শোনা যায়, সারাদিন যেমন তেমন কিন্তু শীতকালে দুপুরবেলা খাবার খাওয়ার পরেই তাদের মধ্যে শীত লাগার পরিমাণ যেন অনেক বেড়ে যায়। অনেকেই ভাবেন এটির সঙ্গে বোধহয় আবহাওয়া সম্পর্কিত কোনও বিষয় রয়েছে তবে এর যুক্তি কিন্তু অন্যরকম। অনেকেই আছেন যারা শীতকালেই বেশি ঠান্ডা জাতীয় খাবার যেমন আইস্ক্রিম কিংবা কোল্ডড্রিঙ্ক খেতে পছন্দ করেন তবে যারা এগুলি একেবারেই খান না, তাদের ঠিক এমন হওয়ার কারণ কী?
খাবারের সঙ্গে শরীরের তাপমাত্রা পরিবর্তনের কোনও যোগাযোগ রয়েছে কি?
আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রা জানাচ্ছেন অবশ্যই রয়েছে। খাবার খেলেই হল না! বরং যখন এটি পরিপাক হয় অর্থাৎ হজম হতে শুরু করে তখন শরীরে নানাধরনের ক্যামিকাল রিয়্যাকশন হয় এবং সেটি থেকেই কিন্তু শরীরের তাপমাত্রায় হেরফের লক্ষ্য করা যায়। এমনকি যারা একটু বেশিই খাওয়াদাওয়া করেন তাদের মধ্যে এই লক্ষণ কিন্তু বেশি!
তবে সমস্যার রেশ রয়েছে। অনেক সময় গরম খাবার খেলেও মানুষ শীতের দুপুরে ঠান্ডার কারণে নড়াচড়া করতে পারেন না! এইক্ষেত্রে কী ধরনের যুক্তি কাজ করে?
ডায়েটের সমস্যা থাকলে এই ধরনের গোলমাল দেখা যায়। যেটি আপনার শরীরে সহ্য হয়না, সেই ধরনের খাবার থেকেও দৈহিক তাপমাত্রায় বদল আসতে পারে। এবং সেইদিকে নজর দেওয়া খুব দরকার। বিশেষ করে যে কারণগুলি হাইলাইট হওয়া দরকার! তার মধ্যে ;
সঠিক পরিমাণে ক্যালোরি যুক্ত খাবার, খাওয়া খুবই দরকারি। ক্যালোরি যদি পরিমাণ মত দেহে না পৌঁছায় তবে এনার্জি তৈরি হয়না এবং সেই থেকেই দৈহিক তাপমাত্রা গোলযোগ বাঁধতে শুরু করে। সঙ্গেই নিউট্রিশন সঠিকভাবে নিচ্ছেন কিনা সেই বিষয়েও সতর্ক থাকুন।
অত্যন্ত বেশি সময়ের জন্য উপবাস আপনার শরীরের পক্ষে খারাপ প্রমাণিত হতে পারে। এর থেকে আর কিছুই নয় গ্লুকোজের মাত্রা কমতে থাকে ফলেই শরীরের তাপমাত্রা কমতে থাকে।
দুপুরের খাবার খাওয়ার পর কম করে ২/৩ ঘণ্টা বিরতি দিয়েই ঠান্ডা খাবার খান। নয়তো রক্ত সঙ্গে সঙ্গেই শীতল হতে শুরু করবে ফলে আপনারই মুশকিল।
আপনি কী অ্যানিমিক? তবে আপনার রক্তে শীতলতা সবসময় বিরাজ করে। খাবার খাওয়ার পরেও কিন্তু অক্সিজেনের পরিমাণে ঘাটতি থাকে তাই এটি খুব স্বাভাবিক বিষয়।
মনে রাখবেন শীতকালে খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শুয়ে পড়বেন না, এতে সমস্যা আরও বাড়তে থাকে।