কাশি হলেই মোক্ষম ওষুধ তুলসী আর মধু.... যেকোনও মানুষ এই সাধারণ বিষয় সম্পর্কে জানেন। তবে তুলসী কেন ভাল আপনার কাশির পক্ষে সেটি জানেন কী? বিশেষ করে শুকনো কাশি এবং ফাঁপা কাশির মধ্যে বিভেদ রয়েছে। বলা উচিত, তুলসী সব কাশিতে কাজ করে না। তবে সারাদিনে যখন তখন এটিকে খেয়ে নিলেন, সেটি কিন্তু একেবারেই চলে না।
Advertisment
আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রেখা রাধামনি বলছেন তুলসী কিংবা হোলি বেসিল আমাদের শরীরের জন্য খুবই ভাল, বিশেষ করে বাচ্চাদের কাশি কম করতে এটি চূড়ান্ত লাভদায়ক। তবে আগে এটির গুণ সম্পর্কে জেনে নিন....
তুলসী কেন কাশির ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় তার অন্যতম একটি কারণ হল, কাশি চলা কালীন শরীরে প্রদাহ বেশি থাকে এবং সেই সময় খাবার সহজে হজম হয়না। আর এদিকে তুলসী সহজেই হজম করা যায়, বলা উচিত এটি খুব হালকা একটি উপাদান।
এত শুকনো এবং গরম প্রকৃতির ফলে গলার কাছে আরাম দেয়, ফুসফুসে আরাম দিতে পারে।
শরীরে কাফা দশাকে ত্বরান্বিত করে। সঙ্গেই খিদে কম থাকলে সেই সমস্যা দুর করে।
খাবারের হজমে সাহায্য করে....
তুলসী কাশির ড্রপ কীভাবে খাবেন?
এক থেকে দুটি তুলসী পাতা, ২ টেবিল চামচ মধু, হাফ চুটকি হলুদ গুরো, লং পেপার আধা চুটকি এবং কালো গোলমরিচ আধা চুটকি, সব কিছুকে একসঙ্গে মিশিয়ে একটু বেটে নিয়ে সেটির থেকে রস বের করে আনুন।
কীভাবে বাচ্চাদের খাওয়াবেন সেটি?
পাঁচ মিলি করে ২/৩ বার প্রতিদিন এটি খাওয়াতে পারবেন। যেহেতু প্রতিটা উপাদান খুবই গরম ধাঁচের, তাই দুই সপ্তাহ পর থেকে এটি খাওয়া বন্ধ করে দেওয়া উচিত। অনেকেই আছেন সকালে উঠেই তুলসী কাচা চিবিয়ে খেতে থাকেন, সেটি একেবারেই ঠিক নয়। এবং সেই রস খাওয়ার পর কম করে ৫/১০ মিনিটের মাথায় হালকা জল খাবেন।
বিশেষজ্ঞ বলছেন, সবথেকে ভাল উপায় কৃষ্ণ তুলসী, আর যারা এটিকে পাবেন না তারা সাধারণ তুলসী ব্যবহার করতে পারেন।