মুখ হোক কিংবা গায়ের চামড়া মানুষ কিন্তু স্কিন নিয়ে একটু বেশিই তৎপর। অল্প কিছু হতে না হতেই সেটিকে নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে পরে। তা সে ব্রণ হোক অথবা অন্য কিছু। মাঝে মধ্যে একটা দুটো ব্রণ কিন্তু খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু সেটি ছাড়াও স্কিনের ওপর নানান সময় ফুসকুড়ির ন্যায় সৃষ্টি হতে পারে। ধীরে ধীরে লাল কিংবা কালো রং ধারণ করে। সবকিছুই কিন্তু ব্রণ নয়। এগুলি স্কিনের নানাধরনের সমস্যা।
বিশেষজ্ঞ ডা আঁচল পান্থ এই বিষয়ে ধারণা দিয়েই বলেন সবসময় সবকিছু ব্রণও হয় না। আর চোখে না দেখে চিকিৎসকরা বলতেও পারেন না আদৌ সেটি কি। কিন্তু এগুলি সময়ে চিকিৎসা না করলে বেশ সমস্যা দেখা দিতে পারে। এবং সবথেকে বেশি যে সমস্যাগুলি দেখা দেয় তার মধ্যে, হোয়াইট হেডস, মিলিয়া, সিরিঙ্গমা, এবং ডার্মাটোসিস পাপুলোসা নিগ্রা এগুলিই বেশি চোখে পড়ে।
সঙ্গে তিনি বিস্তারিত আলোচনা করতে গিয়ে বলেন, সেইভাবে এর চিকিৎসা সম্পর্কে বলা সম্ভব নয়। এর প্রকৃতি, আকার, ধরন এবং কী পরিমাণে ত্বকের ওপর ছড়িয়েছে সেই বুঝেই এর ট্রিটমেন্ট সম্ভব।
প্রথম হল, হোয়াইট হেডস এটি স্কিনের ওপর হওয়া সবথেকে সাধারণ একটি বিষয়। স্কিনের ওপর হালকা গুড়িগুড়ি ভাব দেখা যায়। সাধারণত কপালে আর নাকের পাশে দেখা যায়, তবে বেশ কিছু স্ক্রাব, ক্রিম, সালিসাইলিক অ্যাসিড, অ্যাদাপেলেন ব্যবহার করে এগুলিকে কমানো যায়।
দ্বিতীয় হল, মিলিয়া। একদম ছোট ক্ষুদ্রাকৃতির তবে মুখের যেকোনও জায়গায় হতে পারে। ব্রণর থেকে বেশি সময় দীর্ঘস্থায়ী। ক্রিম একেবারেই কাজ করে না। চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে ভাল। এবং সূর্যের আলো থেকে সাবধান। এর থেকেও মাত্রায় বাড়তে পারে।
তৃতীয়, সিরিঙ্গমা। এটি আকারে বড় এবং কিছুদিন পর থেকেই ফোঁড়ার মত হতে থাকে। মুখের অংশটি কালো হতে থাকে। এই রোগ সারানো বেশ কঠিন বিষয়। ইন্ত্রালেশনাল রেডিও থেরাপি দিয়ে একটু হলেও কম করা যায়। মূলত চোখের চারপাশে এটিকে দেখা যায়।
চতুর্থ, ডার্মাটোসিস পাপুলোসা নিগ্রা। এগুলি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জন্ম থেকেই মানুষের গায়ে দেখা যায়। কালো কালো তিলের মত এবং একসঙ্গে অনেকগুলি জায়গায় ছড়িয়ে থাকে। মূলত মুখে এবং গালে দেখা যায়। ক্রিম কিংবা ঘরোয়া ভাবে একে সারানো যায় না। লেজার থেরাপি অথবা অন্যান্য চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। চামড়ায় এরকম কোনও লক্ষণ দেখলেই সত্ত্বর চিকিৎসা করান।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন