সৌন্দর্যের সংজ্ঞা বদলে যাচ্ছে রোজ রোজ। মেয়েদের চুল 'অন্ধকার বিদিশার নিশা' হলে ফ্যাশন থেকে আউট। আজকের বনলতাদের মাথায় রামধনু রং। সময়ের সাথে সাজ-পোশাকে বদল আসবে, সেটাই স্বাভাবিক। তবে আধুনিকতা যদি বিপদের ঝুঁকি বাড়ায়, তাহলে সেই ফ্যাশন টিকে থাকে না। মাথার একপাশে ফ্লুরোসেন্ট সবুজ, অন্যদিকে নীলকণ্ঠ পাখীর গায়ের রং সবাই-ই যে করেন এমনটা নয়। বছর কুড়ি-পচিশ পেরোতে না পেরোতেই সাদা চুল ঢাকতে রং করার ঘটনা প্রায় প্রতিটা বাড়িতেই ঘটে। কিন্তু এর বিপদ সম্পর্কে অনেকেই অবগত নন।
সম্প্রতি লন্ডনের এক চিকিৎসক কেফাহ মকবেল জানিয়েছেন যে সমস্ত মহিলা ঘন ঘন চুল রং করেন, ব্রেস্ট ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি ১৪ শতাংশ বেশি থাকে। ব্রিটিশ সংবাদপত্র ইন্ডিপেন্ডেন্ট-এ প্রকাশিত হয়েছে তা।
আরও পড়ুন, বর্ষায় চুলের যত্ন নেবেন কীভাবে?
ছবি সৌজন্য-পিক্সাবে
মকবেল জানিয়েছেন বছরে দুই থেকে পাঁচ বারের বেশি চুল রং করা কখনওই উচিত নয়। তাছাড়া চুলে কৃত্রিম রাসায়নিক ব্যবহার করা একেবারেই ভালো না। তার বিকল্প হিসেবে ব্রিটিশ গবেষক চিকিৎসক নিদান দিয়েছেন হেনা, বিটের মূল মাথায় মাখার।
"যে কোনও হেয়ার ডাই-এর বিজ্ঞাপনে দেখি বিশেষজ্ঞরা তিন থেকে চার সপ্তাহ অন্তর চুল রং করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কিন্তু আমাদের পর্যবেক্ষণ বলছে চুল ডাই করলে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বেশ কিছুটা বেড়ে যায়।
২০১৭ সালে কারসিনোজেনেসিস জার্নালে এই ধরণের একটি সমীক্ষায় একই ফলাফল বেরিয়েছিল। সেই সমীক্ষা অনুযায়ী ডাই-এর রং যদি ঘন হয়, তবে ব্রেস্ট ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়ে যায় ৫১ শতাংশ।