অটিজম শব্দটা শুনলেই বাঁকা চোখ, কিংবা এই শিশুদের অনেকেই অন্যরকমভাবে বিবেচনা করে। তথাকথিত সাধারণ মানুষদের ভাষায় অর্টিজম একেবারেই অসাধারণ কিছু। কিন্তু এসবের মাঝেও অধরা থাকে নানান কিছু। একজন অটিজম শিশুর ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিষয়ে ধ্যান রাখা প্রয়োজন।
অটিজম শিশুদের সঙ্গে সঙ্গে এই বিষয়ে জ্ঞান থাকা উচিত আশেপাশের মানুষেরও। কারণ কথায় বলে, বাইরের জগতের সঙ্গে সকলের সম্পর্কই বেশ গভীর। কাছের মানুষদের থেকে উত্তেজনাপূর্ণ কোনও ইঙ্গিত না পেলেও অন্যান্যদের থেকে এধরনের ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা খুব বেশি। বিশেষ করে, অটিজম শিশুরা মানসিকভাবে বেশ স্নিগ্ধ এবং কোমল হয়। ওদের সঙ্গে শুধু কথা বলার ধরণ নয় বরং নিজের কাজ, ব্যবহারের ওপরেও বদল আনা জরুরি। সেই কারণেই নবজাতক চাইল্ড ডেভলপমেন্ট সেন্টারের তরফে আয়োজন করা হয়েছে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের।
আরও পড়ুন < সাধারণ সর্দি-কাশি শিশুদের করোনার সম্ভাব্য বিপদ এড়াতে সাহায্য করে? কী বলছে গবেষণা >
অটিজম মানসিক তত্বের এমন এক পর্যায়, যেটিকে বুঝতে অনেক সময় লেগে যায়। শিশুরা জন্ম থেকেই এই বিশেষ ধরনের ক্ষমতার অধিকারী। তাদের বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন শিশু হিসেবে যেমন বিবেচনা করা যায় না, তেমনই তাঁদের বুঝতে গেলেও নানান বিষয় জানা দরকার। আগামী ২ তারিখই আয়োজন করা হয়েছে এই আলোচনার। যাতে উপস্থিত থাকবেন, দেশ বিদেশের নানান চিকিৎসক থেকে গবেষক এবং শিক্ষকরা। সারাজীবনের জন্য একজন অর্টিজম শিশুর গাইড প্রয়োজন সাংঘাতিকরকম ভাবে। সেইজন্যই পরিবারের এবং সাধারণ মানুষদেরও নিজেদেরকে এই শিক্ষায় শিক্ষিত করা খুব দরকার। অন্তত পরিবেশ এবং পরিজনদের স্বার্থেই এই আয়োজন।
শিশু চিকিৎসক অঞ্জন ভট্টাচার্যর কথায়, "এটি এমন এক ধরনের ক্ষমতা, যেটি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গির ওপর নির্ভর করে। চিন্তাভাবনার মধ্যে দিয়েই পার্থক্য আনা সম্ভব। মানসিকতার পরিবর্তন অনেক কিছুই বদলে দিতে পারে"। অন্যদিকে প্রশিক্ষক পৌলমী নিয়োগীর কথায়, "এই ধরনের শিশুদের ওপর অথবা ব্যক্তিদের নানান ইতিবাচক প্রভাবও রয়েছে। আমাদের মনে যে একটা বৈষম্য চলে সেটা নিয়ে ভাবা উচিত। নইলে খুব বিপদ, বৈচিত্র্য উদযাপন করতে না জানলে সমস্যা"।