Advertisment

World diabetes day 2021 : অল্পবয়সীদের মধ্যে ডায়াবেটিসের ঝোঁক বেশি? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

অল্পবয়সীদের ঝুকি এড়াতে নিয়ম মেনে চলুন

author-image
IE Bangla Lifestyle Desk
New Update
NULL

শিশুদের মধ্যেও থাকতে পারে এর বৈশিষ্ট্য

ডায়াবেটিসের কোনও বয়স নেই, এবং সবথেকে বড় কথা ডায়াবেটিস কিন্তু একদম শিশুদের মধ্যেও দেখা যেতে পারে। চিকিৎসক আশুতোষ গোয়াল বলছেন, ৭৭ লক্ষ মানুষ রয়েছেন শুধুমাত্র ভারতবর্ষে যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত এবং তাদের মধ্যেও ৪৩ লক্ষ মানুষ চিকিৎসার অধীন নয়। এবং তার সঙ্গেই বলেন অল্প বয়সের তুলনায় বেশি বয়সের মধ্যে এর বাড়বাড়ন্ত কম। 

Advertisment

তিনি বলছেন, সবথেকে বেশি ডায়াবেটিসের লক্ষণ মেলে ২০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। অনিয়মিত জীবনযাত্রা থেকে শুরু করে ভেজাল খাওয়াদাওয়া, শরীরের অচলতা এইসবের কারণেই কিন্তু অল্প থেকে মধ্য বয়স্কদের মধ্যে এর লক্ষণ বেশি। সবথেকে বড় কথা এখনকার সময় দাঁড়িয়ে, বাড়ি থেকে কাজ করার দূর্বাদে এখন জীবনে অশান্তির শেষ নেই। বসে থেকে থেকেই হতে পারে ডায়াবেটিসের সমস্যা। ক্রমাগত স্ট্রেস বাড়ছে, ঘুমের প্রভাব কমছে এবং তার সঙ্গেই শরীরের সমস্যা বাড়ছে। 

তবে অল্পবয়সীদের মধ্যে যে কারণেই এর লক্ষণ মেলে ;

  • জিনগত সমস্যা, পরিবারে এর লক্ষণ 
  • শরীর চলাচল না করা
  • ধূমপান এবং খারাপ ভাবে মদ্যপান করা
  • অল্প সময়ে ঘুমানো
  • স্ট্রেসের বৃদ্ধি 
  • হাই ব্লাড প্রেসার
  • হাই কোলেস্টেরল
  • পূর্বে পিসিওএস এবং স্বল্প ডায়াবেটিসের লক্ষণ 
  • স্থূলতা

কীভাবে বুঝতে পারবেন যে আপনি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত : 

  • বহুমূত্র রোগের লক্ষণ মিলবে। যেহেতু এই সময় শরীর থেকে অতিরিক্ত গ্লুকোজ বেরতে চায়।
  • প্রচন্ড পরিমাণে আপনার জল তেষ্টা পাবে এবং ঘনঘন জল খাওয়ার পরেও আপনার গলা শুকিয়ে যাবে। 
  • খিদে কম পাবে সঙ্গেই অনুভূত হবে অত্যধিক ক্লান্তি। যেহেতু কোষে সুগারের পরিমাণ কম থাকে তাই এটি হতেও পারে। 
  • অনেকের ক্ষেত্রে আবার ওজন কমে যাওয়ার প্রবণতা থাকে। যেহেতু কোষে সুগার সহজেই পৌঁছায় না, সহজেই চর্বি ক্ষরণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সেই কারণেই এনার্জি পাবেন না। 

কীভাবে অল্প বয়সিরা এর থেকে বাঁচতে চেষ্টা করবেন : 

পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট এবং চিনির মাত্রা কমিয়ে খাওয়া উচিত। কারণ রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে কিন্তু ডায়াবেটিসের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। কার্বোহাইড্রেটের পরিবর্তে ওটমিল, শাকসবজি খাওয়া উচিত। 

ধূমপান ত্যাগ করা দরকার। এর ঘেরাটোপ থেকে বেরিয়ে আসা উচিত। ধূমপান ইনসুলিন প্রতিরোধ করে এবং টাইপ দুই ডায়াবেটিস হতে পারে। ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে যায়। 

নিয়মিত ব্যায়াম করা দরকার। শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকা এবং জীবনযাত্রা অচল রাখা খুব খারাপ। প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটা, সাঁতার, সাইকেল চালানো, যোগব্যায়াম এগুলি কিন্তু খুব দরকারী। তবে এই সময় শীতের শুরুতে ধোঁয়াশা এবং কুয়াশায় বাইরে বেরিয়ে এসব করবেন না। 

ভাল পরিমাণে ফাইবার গ্রহণ করতে হবে। খাবারে ফাইবার না থাকলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে না। অন্ত্রের স্বাস্থের জন্য এটি খুব দরকারী। ফাইবার ইনসুলিন এবং রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি রোধ করতে পারে। 

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে এবং নিজেকে সুস্থ রাখতে হবে। 

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

health diabetes young generation
Advertisment