শরীর অসুস্থ থাকা একরকম কিন্তু তারসঙ্গেই অলসতা থাকলে খুব বিপদ! বেশ কিছু মানুষ অলস নিজের স্বাভাবিক প্রকৃতিতে, তাঁদের সকাল সন্ধ্যে কোনও সময়েই শক্তি থাকে না। তবে এই হারে চলতে থাকলে কিন্তু খুব বিপদ, ওষুধ এমনকি চিকিৎসকের পরামর্শ কিছুই কাজ করবে না। তাই কীভাবে নিজেকে সক্রিয় রাখা উচিত সেই সম্পর্কে জানেন কী?
Advertisment
সারাদিনে কোনও কাজ করতে ইচ্ছে করে না? কিন্তু শুয়ে বসে থাকার পরেও শরীরে এনার্জি পাচ্ছেন না। তবে খাবারের বেশ কিছু বদল আনলেও কিন্তু এর থেকে রেহাই পাওয়া যায়। শুধু তাই নয়, এর মাধ্যমে ওজন কমানোও সম্ভব। কী করবেন?
বাদাম, বীজ এবং ফল খাওয়া ভাল প্রমাণিত হতে পারে। খুব প্ল্যান করে খাবার খেতে হবে। স্নাক্স থাকা দরকারি। বাদাম অনেকক্ষণ পেট ভর্তি রাখে, সঙ্গেই শক্তি যোগায়। এটি বাইরের আজে বাজে খাবার খাওয়া থেকে রেহাই দিতে পারে।
খাবারের প্লেটে যেন প্রোটিন এবং সবজি থাকে। প্রোটিনের মধ্যে সয়াবিন, বিন্স, মটর, ডিম কিংবা তফু এই জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত। সবজি ক্যালোরি বাড়তে দেয় না সঙ্গেই খাবারের চাহিদা কমায়। এতে শরীর সুস্থ থাকে।
সবসময় অল্প পরিমাণে খাওয়া অভ্যাস করতে হবে। বেশি খেলেই মুশকিল! পরিমাণ আয়ত্বে রাখতে হবে। অনেকসময় দেখা যায় পুষ্টিকর খাবার বেশি পরিমাণে খেলেও মুশকিল। সেই ক্ষেত্রে স্যালাড, চিজ, কিংবা বাদামের সাহায্য নিতে হবে। অল্প মাত্রায় ক্যালোরি কিন্তু দরকারি, তবে বেশিমাত্রায় কোনওটাই ভাল নয়।
নিজেকে হাইড্রেটেড রাখা খুব দরকারি। সারাদিনে প্রচুর পরিমাণে জল খেলেই কিন্তু শরীরের এনার্জি বজায় থাকে। এতে শরীরের তাপমাত্রা আয়ত্বে থাকে। পেশীর ব্যাথা কমে যায়। ইনফেকশন কম হয়। কোষের উজ্জ্বলতা বজায় রাখা যায় এইভাবে। এর কারণে ঘুমও ভাল হয়।
তাই, নিজের শরীরকে চটপটে রাখতে হলে বাটারমিল্ক কিংবা দই এগুলি খাওয়া দরকারি, প্রয়োজন ক্যালসিয়ামও। স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিন, তবেই মন ভাল থাকবে।