World Mental Health Day 2024: বর্তমান সময়ে শারীরিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া খুবই জরুরি। ওয়ার্ল্ড মেন্টাল হেলথ ডে' ২০২৪ এ জানুন কীভাবে নিজেকে মানসিকভাবে ফিট রাখবেন। প্রতি বছর ১০ অক্টোবর সারা বিশ্বজুড়ে পালিত হয় ওয়ার্ল্ড মেন্টাল হেলথ ডে' । মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১০ অক্টোবর সারা বিশ্বজুড়ে ওয়ার্ল্ড মেন্টাল হেলথ ডে' পালন করা হয়। আজকের এই কর্মব্যস্ততার যুগে মানসিকভাবে ফিট থাকাটা বিশেষ ভাবে জরুরি। অধিকাংশ ক্ষেত্রে মনের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে শরীর। আজকের এই প্রতিবেদনে জেনে নিন কীভাবে নিজেকে মানসিক ভাবে চাঙ্গা রাখবেন।
বর্তমান সময়ে শারীরিক স্বাস্থ্য আমাদের জন্য যতটা গুরুত্বপূর্ণ, মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়াও ততটা জরুরি হয়ে পড়েছে। পরিবর্তিত জীবনধারার কারণে মানসিক চাপ, উদ্বেগ ও বিষণ্নতার ঘটনা দ্রুত বাড়ছে। এমনকি তরুণ-তরুণী এমনকি ছোট শিশুরাও বিষণ্ণতার শিকার হচ্ছে। দুর্বল মানসিক স্বাস্থ্যের কারণে আপনার শারীরিক স্বাস্থ্যেরও অবনতি হয়। এমন পরিস্থিতিতে মানসিক স্বাস্থ্যেও সমান মনোযোগ দেওয়া জরুরি। মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১০ অক্টোবর সারা বিশ্বজুড়ে পালন করা হয় ওয়ার্ল্ড মেন্টাল হেলথ ডে'। জেনে নিন মানসিকভাবে সুস্থ থাকার ১০টি উপায়।
১৪ শতাংশ শিশুও বিষণ্নতায় ভোগে
সারা বিশ্বে মানসিক রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা খুব দ্রুত বাড়ছে। ইউনিসেফের ২০২১ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের প্রায় ১৪ শতাংশ শিশুও মানসিক বিষণ্নতার শিকার। এত বড় পরিসরে এই দিনটি উদযাপনের একমাত্র উদ্দেশ্য মানুষের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতাৎ বৃদ্ধি করা। রাষ্ট্রসংঘ ১৯৯২ সালে প্রথম ওয়ার্ল্ড মেন্টাল হেলথ ডে উদযাপন শুরু করে। বিশ্বব্যাপী এই দিবসটি পালনের উদ্দেশ্য হলো মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা। এটি প্রতি বছর একটি থিম নিয়ে পালিত হয়।
মানসিকভাবে সুস্থ থাকার উপায়
ছোট ছোট জিনিসের মধ্যে আনন্দকে খুঁজে নিন। মন খুলে হাসুন। হাসি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো বলে মনে করা হয়।
আপনি যদি কোনো কিছুর কথা চিন্তা করে খুব মানসিক চাপ অনুভব করতে শুরু করেন, তাহলে দীর্ঘ এবং গভীর শ্বাস নিন এবং শ্বাস ছাড়ুন। এটি মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার একটি দুর্দান্ত উপায়।
নিয়মিত মেডিটেশন করুন। এতে আপনার মানসিক চাপ কমবে। প্রাচীনকাল থেকেই ভারতে ধ্যানের চর্চা হয়ে আসছে। এমন পরিস্থিতিতে, আপনার দৈনন্দিন রুটিনে মেডিটেশনকে অন্তর্ভুক্ত করুন।
আপনি যদি অতিরিক্ত চিন্তাপ্রবণ হন তবে আপনাকে একটি বিষয়ে ফোকাস করতে হবে। জীবন আজ অর্থাৎ বর্তমান। যা হয়েছে তা নিয়ে ভাবুন। যা হয়নি তা কেন হয়নি তা নিয়ে ভাবা ছেড়ে দিন। নিজেকে বর্তমানের মধ্যে রাখার চেষ্টা করুন, এবং অতীত এবং ভবিষ্যতের কথা নিয়ে চিন্তা করবেন না।
আপনাকে খুশি রাখতে সঙ্গীতও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। প্রতিদিন আপনি কিছু সময়ের জন্য আপনার প্রিয় গান শুনুন। যাইহোক, মানসিক চাপের সময়, দু:খের গান শোনা থেকে দূরে থাকা উচিত।
স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার খাদ্যতালিকায় তাজা ফল, শাকসবজি, বাদাম, শুকনো ফল অন্তর্ভুক্ত করুন। পর্যাপ্ত পরিমাণ জল পান করুন। এ ছাড়া ধূমপান ত্যাগ করুন এবং অ্যালকোহল পান কম করুন।
যোগব্যায়াম এবং ব্যায়ামের মাধ্যমেও মানসিক চাপ কমানো যায়। এ ছাড়া নাচ, সাঁতার কাটা, হাঁটার মতো কাজ করেও নিজেকে মানসিক চাপ থেকে দূরে রাখতে পারেন।
তাড়াতাড়ি ঘুমানো এবং সকালে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস গড়ে তুলুন। সকালে ঘুম থেকে উঠে যোগব্যায়াম, ব্যায়াম এবং মেডিটেশন করলে আপনি মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকবেন।
পরিবার এবং বন্ধুদের সাথে সময় কাটানো এবং বাইরে যাওয়াও মানসিক চাপ কমায়। আপনি আপনার পছন্দের কাজ করেও টেনশন দূর করতে পারেন।
আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন। আপনি যদি স্থূলতার শিকার হয়ে থাকেন তাহলে আপনার ওজন কমাতে মনোযোগ দিন। একটি সমীক্ষা অনুসারে, মোটা ব্যক্তিদের মধ্যে বিষণ্নতার ঝুঁকি ২০ শতাংশ বেশি।