Advertisment

ধূমপান ছাড়ুন আয়ুর্বেদিক উপায়ে

সক্রিয় ধূমপানের ক্ষেত্রে কিছু ধোঁয়া শরীরের বাইরে বেরিয়ে গেলেও নিস্ক্রিয় ধূমপানের ক্ষেত্রে কিন্তু তার সম্ভাবনা থাকে না। যে কারণে বলা হয়, স্বেচ্ছায় ধূমপানের থেকে অনিচ্ছাকৃত ধূমপান বেশি ক্ষতিকারক।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

ধূমপানের কারণে প্রত্যেক বছর প্রাণ হারাচ্ছেন প্রায় সাত মিলিয়ন মানুষ। নিয়মিত ধূমপান করলে মুখ, গলা এবং অগ্ন্যাশয়ে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সক্রিয় ধূমপানকারীরা উদ্ভূত ধোঁয়াকে ইচ্ছাকৃতভাবে মুখে টেনে সরাসরি ফুসফুসে প্রবেশ করান। নিস্ক্রিয় ধূমপানে অনিচ্ছাকৃত কারোর শরীরে নিঃশ্বাসের মাধ্যমে প্রবেশ করে ক্ষতিকারক ধোঁয়া। সক্রিয় ধূমপানের ক্ষেত্রে কিছু ধোঁয়া শরীরের বাইরে বেরিয়ে গেলেও নিস্ক্রিয় ধূমপানের ক্ষেত্রে কিন্তু তার সম্ভাবনা থাকে না। যে কারণে বলা হয়, স্বেচ্ছায় ধূমপানের থেকে অনিচ্ছাকৃত ধূমপান বেশি ক্ষতিকারক। যার ফলে ফুসফুসে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই যে এত কথা মনে করাচ্ছি, তার পেছনে কারণটা হল শুক্রবার 'বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস'।

Advertisment

সমীক্ষা বলছে, ভারতে গড়ে তিনজন ধূমপায়ীর মধ্যে একজনকে খুঁজে পাওয়া যাবে, যিনি ধূমপানের ফলে গুরুতর অসুস্থ। তাই শিরে সংক্রান্তি বলতে পারেন। সুতরাং প্রত্যেক বছর এইদিনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তামাক ছাড়ার জন্য প্রচার চালানোটা একপ্রকার অলিখিত নিয়ম হয়ে গিয়েছে।

ডাক্তার প্রতাপ চৌহান অনায়াসে ধূমপান ছাড়ার জন্য দিয়েছেন কিছু আয়ুর্বেদিক টিপস

১) সিগারেট খাওয়ার ইচ্ছা হলে জোয়ানের সঙ্গে লেবু মিশিয়ে চিবিয়ে চিবিয়ে খেয়ে নিন।

২) সিগারেট ছাড়ার জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যাফিন, অ্যালকোহল এবং চিনি এড়িয়ে চলুন।

৩) ধূমপায়ীরা খুব বেশি করে ফল খাবেন, বিশেষ করে আপেল, গাজর, কলা, শশা।

৪) দুধ, ঘি, টাটকা খাবার এবং নিরামিষ জাতীয় খাবারের পরিমাণ বাড়াতে হবে।

৫) প্রসেস করা প্যাকেটজাত খাবার খাওয়া বন্ধ করুন। পাশাপাশি ঝাল মশলা কম খান।

৬) আপনার যে সব বন্ধুরা সিগারেট খান তাদের থেকে বেশ কয়েক মাস দূরে থাকার চেষ্টা করুন।

৭) যখনই আপনার সিগারেট খেতে ইচ্ছা করবে, তখন আপনার পছন্দের কাজটি করা শুরু করবেন, মনকে ব্যস্ত রাখবেন।

Read the full story in English

Advertisment