অপুষ্টির শিকার ভারতীয়রা, নিজের ফোটো সিরিজে এই কথাই বোঝাতে চেয়েছেন ফোটোগ্রাফার অ্যালেসিও মামো। নিজেদের হাত দিয়ে চোখ ঢেকে আছেন দরিদ্র সীমার নীচের কিছু মানুষ আর তাঁদের সামনে রাখা টেবিল ভর্তি রকমারি খাবার। কিন্তু সবটাই তাঁদের কল্পনায়। এই ফোটো সিরিজই হইচই ফেলেছে নেটদুনিয়ায়। পুরস্কার প্রাপ্ত ফ্রিল্যান্স ফোটোগ্রাফার অ্যালেসিও মামো তাঁর ফোটো সিরিজ শেয়ার করেছেন ওয়ার্ল্ড প্রেসের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে। নাম "অ্যান্ড সাম ফেক ফুড"।
ফোটো সিরিজে দেখা যাচ্ছে অপুষ্ট কিছু মানুষকে। যাঁরা মুখ ঢেকে একটি টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। মামোর বক্তব্য, ওই টেবিলে কিছু ভুয়ো খাবার রাখা ছিল। তারপর তিনি ওই অভুক্ত মানুষদের বলেন, এমন কিছু খাদ্যের কথা কল্পনা করতে, যা তাঁরা চোখ খোলার পর টেবিলে দেখতে চান। ইনস্টাগ্রামে ছবি দেওয়া মাত্রই বিরাট হইচই পড়ে যায়। মামো উত্তরপ্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশে এই ছবিগুলি তোলেন এবং দাবি করেন, "এই দুটি ভারতের সবচেয়ে গরীব রাজ্য।"
সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে নীচের ছবিগুলি:
অপুষ্টির শিকার ভারতীয়রা, নিজের ফোটো সিরিজে এই কথাই বোঝাতে চেয়েছেন ফোটোগ্রাফার অ্যালেসিও মামো।
ছবির সিরিজের নাম "অ্যান্ড সাম ফেক ফুড"।
নেটপাড়ায় তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে মামোর এই ছবির সিরিজ।
Wow, this is tasteless and crass. From photographer @alessiomamo: "I brought with me a table and some fake food, and I told people to dream about some food that they would like to find on their table.” https://t.co/kXHa5Tv9rv pic.twitter.com/eeZXUlNMak
— Melissa Lyttle (@melissalyttle) July 22, 2018
A few thoughts about the Alessio Mamo/World Press Photo controversy:
— olivierclaurent (@olivierclaurent) July 23, 2018
@WorldPressPhoto before you hand off you IG feed to former award winners - take a look at their work and screen for exploitation and cruelty.
“I brought with me a table and some fake food, and I told people to dream about some food that they would like to find on their table.” pic.twitter.com/eOfUZY82LJ
— Kainaz Amaria (@kainazamaria) July 22, 2018
This photographer brought his own fake food to put in front of these starving children in India. He asked them to dream about what kind of food they wanted to put on the table. This is an example of #journalism with no moral compass. @WorldPressPhoto why are you supporting this? pic.twitter.com/4hmDzSJO45
— Lauren Wolfe (@Wolfe321) July 23, 2018
How *not* to photograph people who have less money than you, on full display at @WorldPressPhoto’s Instagram today. World Press Photo is one of the world’s most well-known photo organizations, but economically disadvantaged humans are not props. #povertyporn #telltheirstories pic.twitter.com/MXtMVcabie
— Shannon Sims (@shannongsims) July 23, 2018
মামোর এই কাজের তীব্র সমালোচনা করেছেন নামীদামী ফোটোগ্রাফার ও এডিটররা। অনেকে তাঁর কাজকে বিস্ফোরক ও অসংবেদীও আখ্যা দিয়েছেন। নামকরণ করেছেন '' পভার্টি পর্ন''।
আরও পড়ুন, বিদেশিনীর চিঠি: আমি কাউকে মুখ দেখাতে পারিনি
ইরাকের কিকরুকে ১১ বছরের এক শিশু মিসাইলের বিস্ফোরণের শিকার হয়েছিল। ওয়ার্ল্ড প্রেসের সেরা ছবি হিসাবে সেই ছবিটিই পুরস্কৃত হয়। সেরা ফোটোগ্রাফার হিসাবে দ্বিতীয় পুরস্কার জেতেন অ্যালেসিও মামো।