সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের নতুন এয়ারবাস এ A350-900 ULR (সবচেয়ে বড়ো) ১৭ ঘন্টা ৫২ মিনিটে পথ করেছে ১৫,০০০ কিলোমিটার। বিশ্বব্যাপী দীর্ঘতম এই বিমানটি শুধুমাত্র যে আয়তনে বড় এমনটা নয়, কোথাও না থেমে এই প্রথম পাড়ি দিয়েছে দীর্ঘতম পথ। এই যাত্রীবাহী বিমানটি প্রায় ১৬১ জন যাত্রী নিয়ে সিঙ্গাপুরের চাঙ্গী বিমানবন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে নিউ ইয়র্কে অবতরণ করেছে।
তবে এই পদক্ষেপ যে নতুন এমনটা নয়, গত পাঁচ বছর আগে (২০১৩) সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস (এসআইএ) একটি এয়ারবাস চালু করেছিল। যা প্রায় ১৬,৭০০ কিলোমিটার উড়িয়ে নিয়ে যেত যাত্রীদের। মূলত জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে এইরকম বেশি ক্ষমতার বিমান পরিষেবা চালু করা হয়েছে।
"সময় কখন কেটে গেছে বিমানের ভিতরে থেকে তা বোঝা যায়নি। এইরকম পরিষেবার বিমান আগে কোনোদিন দেখা যায় নি। দীর্ঘ সময় যে বিমানে ছিলাম তা মনে হচ্ছে না," বিবিসি রিপোর্টে জানিয়েছেন বিমানবন্দর কর্মকর্তা জিওফ্রে থমাস।
২০০৩ সালে, দীর্ঘতম বিমানটি 777-200LR কাতার এয়ারওয়েজের অকল্যান্ড-দোহা থেকে উড়ে যায় । সে বছরের দীর্ঘ পথ অতিক্রম করতে সময় নিয়েছিল ১৭ ঘন্টা ৪০ মিনিট। পথের পরিসীমা ছিল প্রায় ১৪,৫৩৫ কিমি। সম্প্রতি এই নতুন বিমানটিকে মূলত আপগ্রেড করা হয়েছে। কার্যকরিতা এবং যাত্রা যাতে আরও বেশি আরামদায়ক হয় সে দিকে নজর রেখে বিমানটিকে ঢেলে সাজানি হয়েছে। নতুন বৈশিষ্ট্যের তালিকায় নিয়ে আসা হয়েছে ৬৭ টি বিজনেস ক্লাস এবং ৯৪ টি প্রিমিয়াম ইকোনমিক ক্লাস যার মানে আরও বেশি জায়গা তৈরি করা হয়েছে যাত্রীদের সুবিধার্থে, বিজনেস ক্লাসের জন্য ৬৭ টি বিছানার ব্যবস্থাও আছে।
সাধারণ A350-900 বিমানের তুলনায় ২৪,০০০ লিটার বেশি জ্বালানী বহন করার ব্যবস্থা রয়েছে। যেহেতু বেশি জ্বালানী বহন করে নিয়ে আসবে, সেই কারণে অন্যান্য বিমানের তুলনায় কম যাত্রী বহন করবে।
ইন্টারনেট-আসক্ত ভ্রমণকারীরা প্রায় পুরো দিনের জন্য বিমানটিতে মধ্যগগনেও Wi-Fi পরিষেবা পাবেন, তবে তা অতিরিক্ত মূল্যের বিনিময়ে। একটি বিজনেস ক্লাসে টিকিটের সঙ্গে বিনামূল্যে ৩০এমবি ডেটা ব্যবহার করতে পারবেন। অতিরিক্ত ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে এক ঘন্টা ফেসবুক ব্যবহার খরচ হবে ২০ এমবিতে ৬ ডলার। চলচ্চিত্র প্রেমীদের জন্য এয়ারলাইনের হাজারেরও বেশি সিনেমা এবং টেলিভিশন শো পাওয়া যাবে।।