Advertisment

কৃষ্ণনগরের জাগ্রত উগ্রতারা, যেখানে দেবীকে বেঁধে রাখা হয় লোহার শিকল দিয়ে

স্বপ্নাদেশে দেবী তাঁর মূর্তির হদিশ দিয়েছেন।

author-image
Chinmoy Bhattacharjee
New Update
Krishnanagar Tara

এখানে দেবী তারার পাথরের মূর্তি লোহার শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। তার পাশেই রয়েছে দেবীর অপর মূর্তি। দুই মূর্তিরই পুজো করা হয়। দেবী এখানে পরিচিত উগ্রতারা রূপে। কৃষ্ণনগর এলাকার নেদেরপাড়ায় রয়েছে দেবী তারার এই দুই জাগ্রত মূর্তি। যেখানে মূর্তিটি রয়েছে, সেটি একজনের বাড়ি। সেই ব্যক্তির নাম পার্থপ্রতিম রায়। তিনি অবশ্য বাড়ির মালিক নন, ভাড়াটে। সামান্য কাজকর্ম করেই ছেলে, মেয়ে, স্ত্রী, মাকে নিয়ে সংসার চালান।

Advertisment

পার্থপ্রতিম রায়ের ছেলের নাম প্রীতম রায়। তিনি ছোট থেকেই ছিলেন দেবী তারার ভক্ত। কথিত আছে ১৪ বছর আগে টিফিনের পয়সা বাঁচিয়ে তিনি দেবী তারার মূর্তি বাড়িতে নিয়ে এসেছিলেন। নিজেই শুরু করেছিলেন দেবীর পুজো। এর আগে ছোট বয়সে স্কুলের খাতায় তিনি হামেশাই দেবী তারার ছবি এঁকে ফেলতেন। তিনি স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন যে, দেবী তারা বাড়িতে আসতে চান। তারাপীঠে দ্বারকা নদীর ধারে দেবীর মূর্তি রয়েছে। তাঁকে নিয়ে আসতে হবে। সেই মতো একদিন প্রীতম এক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে তারাপীঠের পথে রওনা হন। পৌঁছে যান দ্বারকা নদীর ধারে।

অবশেষে খুঁজেও পান স্বপ্নাদেশে পাওয়া সেই মূর্তি। সেখান থেকে তিনি মূর্তিটি কৃষ্ণনগরের বাড়িতে নিয়ে আসেন। মূর্তিটি এক কুমোড়কে দিয়ে রং করিয়ে বাড়িতেই প্রতিষ্ঠা করেছেন ওই যুবক। কিন্তু, তারপর থেকেই তাঁর বাড়িতে শুরু হয়েছিল নানা অশান্তি। তখন প্রীতম দেবীর কাছে মঙ্গল প্রার্থনা করেছিলেন। তারপরই মিলেছিল স্বপ্নাদেশ। সেই স্বপ্নাদেশে বলা হয়েছিল যে দেবীমূর্তিকে লোহার শিকল দিয়ে বেঁধে রাখলে আর সমস্যা হবে না। সেই অনুযায়ী, এখানে দেবীকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়।

আরও পড়ুন- আদি করুণাময়ী কালী মন্দির, জাগ্রত দেবীর টানে বিদেশ থেকেও আসেন ভক্তরা

তারপর থেকে ওই মূর্তি আজও শিকল বাঁধাই রয়েছে। দেবী এখানে নিত্য পূজিতা। কালীপুজোতেও সমস্ত নিয়ম মেনেই হয় দেবীর পুজো। প্রীতমের বাবা জানান, তাঁর ছেলের জন্মের আগে এক অলৌকিক ঘটনা ঘটেছিল। এক সাধু তাঁর গর্ভবতী স্ত্রীকে জানিয়েছিলেন যে তাঁর মেয়ে হবে। তবে যদি ছেলে চান, তবে দেবী তারার আরাধনা করতে হবে। তার পরই প্রীতমের জন্ম হয়।

pujo Temple
Advertisment